
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যদি ইউক্রেনকে পশ্চিমা বিশ্বের দেয়া দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে তিনিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের ওপর আঘাত হানার মতো দূরত্বে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার জ্যেষ্ঠ সম্পাদকদের সঙ্গে সামনাসামনি এক বৈঠকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন।
তিনি বলেছেন, রাশিয়া কখনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না, পশ্চিমের এমন ধারণা ভুল। ক্রেমলিনের পারমাণবিক নীতিকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।
তার ভাষায়, যদি এসব পশ্চিমা দেশ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে আমাদেরও একই ধরনের আচরণ করার অধিকার রয়েছে। এমনটা হলে পরিস্থিতি খুবই জটিল হবে।
রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেয়ার বিষয়ে ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গের আহ্বান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে পুতিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কিয়েভকে আরও শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় আঘাত হানার অনুমতি দেয়া হলে সেটি গুরুতর উত্তেজনা তৈরি করবে; যা পশ্চিমকে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
৭১ বছর বয়সী ক্রেমলিনের এই প্রধান বলেন, পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করা হবে। বিশেষ করে মার্কিন এটিএসিএমএস এবং ব্রিটিশ ও ফরাসি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করার কথা বলেছেন তিনি।
পুতিন আরো বলেন, যেসব দেশ ইউক্রেনকে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানার অনুমতি দেবে, মস্কো তাদের ওপর আঘাত হানার মতো একই ধরনের উচ্চ-প্রযুক্তির, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার কথা বিবেচনা করছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি দেখি এসব দেশ রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে, তাহলে আমরাও একইভাবে জবাব দেওয়া অধিকার সংরক্ষণ করি। সাধারণভাবে এটি খুব গুরুতর সমস্যার পথ হবে।
তবে কোথায় এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছেন সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিয়েভকে রাশিয়ার ভেতরের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা কিছু অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। তবে ওয়াশিংটন এখনও কিয়েভকে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে আঘাত হানতে বারণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য দূরপাল্লার সরবরাহকৃত অস্ত্রের আওতা ৩০০ কিলোমিটার।
গত ৩ মে রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, রাশিয়ার ভেতরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য ব্রিটেনের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করার অধিকার রয়েছে ইউক্রেনের। আর এটা পুরোপুরি কিয়েভের ওপর নির্ভর করছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]