
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে নাইজারের সামরিক সরকার। যে চুক্তিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সামরিক ও বেসামরিক কর্মীদের নাইজারে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে মার্কিন কূটনৈতিক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার কয়েকদিন পরেই এ ঘোষণা দেয়া হলো।
নাইজারের সামরিক মুখপাত্র কর্নেল মেজর আমাদু আবদ্রামে পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় টেলিভিশনে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, নাইজারের সরকার সম্পূর্ণ দায়িত্বের সাথে তার জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে, নাইজার প্রজাতন্ত্রের অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মীদের এবং আমেরিকান প্রতিরক্ষা বিভাগের বেসামরিক কর্মচারীদের মোতয়েন সম্পর্কিত চুক্তিকে অবিলম্বে নিন্দা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবদ্রামানে যোগ করেছেন যে, দুই দেশের মধ্যে ২০১২ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি, নাইজারের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশের সার্বভৌমত্বের ‘সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক নিয়ম’ লঙ্ঘন করেছে।
তিনি বলেন, এ চুক্তিটি শুধুমাত্র গভীরভাবে অন্যায় নয় বরং এটি নাইজেরিয়ান জনগণের আকাঙ্খা এবং স্বার্থ পূরণ করে না।
নাইজার একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার ছিল, কিন্তু সামরিক জান্তা জুলাই ২০২৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে একটি অভ্যুত্থান হিসাবে দেখেছিল। তারপর থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ১,১০০ সৈন্যদের অনেককে প্রত্যাহার করেছে যারা নাইজারে অবস্থান করেছিল।
পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে, নাইজারে উপস্থিতি বজায় রাখা এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার প্রচেষ্টার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অক্টোবরে, পেন্টাগন বলেছিল যে, তারা এখনও মূল্যায়ন করছে যে এই পরিবর্তন কীভাবে দেশটিতে নিযুক্ত প্রায় ১ হাজার মার্কিন সেনাকে প্রভাবিত করবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কংগ্রেসে পাঠানো একটি চিঠিতে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উল্লেখ করেছেন যে, প্রায় ৬৪৮ মার্কিন সামরিক কর্মী নাইজারে মোতায়েন রয়েছে।
সূত্র: সিএনএন
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]