আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে মিয়ানমারের জান্তা: জাতিসংঘ
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৮
আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে মিয়ানমারের জান্তা: জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ)। এই বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জয়ের মিশনকে থামিয়ে দিতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনী। সংবাদমাধ্যম ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।


সংঘাত বাঁধার পর থেকে দেশটির বেসামরিক লোকজনদের ওপর জান্তা বাহিনীর হামলার হার দ্বিগুণ হয়েছে।


বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


চলমান সংঘাতে বেশ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঘটনা জান্তাকে আরও বেপরোয়া-বিপজ্জনক করে তুলছে। আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, গত তিন-চার মাসে মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদেরও ওপর জান্তা বাহিনীর হামলার হার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।


প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্র অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।


সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পরপরই ফুঁসে উঠেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনতা। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করেন তারা। কিন্তু মিয়ানমারের পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ দমনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করার পর ২০২২ সালের দিকে গণতন্ত্রপন্থিদের একাংশ জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দেওয়া শুরু করে।


গত প্রায় চার মাসের সংঘাতে মিয়ানমারের অন্তত ৪০টি শহর এবং গুরুত্বপূর্ণ শান প্রদেশসহ অন্তত ৫টি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে পিডিএফ। অন্যদিকে এসব শহর ও প্রদেশের দখল হারানোর পাশাপাশি ব্যাপক সংখ্যক সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদেরও হারিয়েছে জান্তা।


জনবল সংকট দেখা দেয়ায় সম্প্রতি সাধারণ নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জান্তার এই পদক্ষেপকে নাগরিকদের ওপর জুলুম চালানোর নতুন পদক্ষেপ হিসেবে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন টম অ্যান্ড্রুজ।


বিবৃতিতে সাবেক এই মার্কিন আইনপ্রণেতা বলেন, সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করার পর থেকে মিয়ানমারের তরুণ-তরুণীরা রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এবং প্রতিদিন শত শত তরুণ-তরুণী সীমান্ত পথ দিয়ে মিয়ানমার ছেড়ে পালাচ্ছেন। সামনের দিনগুলোতে এই হার আরও বাড়তে পারে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com