
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেটা অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ এর আগে মসলাজাতীয় পণ্যটি রপ্তানি করবে না তারা। ভারতীয় প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া ভারত সরকার। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত সরবরাহ রাখতে চায় তারা। সেই লক্ষ্যে রান্নাঘরের মুখ্য পণ্যটি রপ্তানি নিষিদ্ধ রাখতেই আগ্রহী তারা। প্রয়োজনে বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।
বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে ভোক্তা বিষয়ক সচিব রোহিত কুমার বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে বিদ্যমান অবস্থান পরিবর্তনের কোনো বাধ্যবাধকতা আপাতত নেই।
তিনি বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দর যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে মুখিয়ে আছে সরকার। দেশের মার্কেটে পণ্যটির সহজলভ্যতা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে চায় তারা। এখন মূলত তাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি খবর বের হয়, পেঁয়াজ রপ্তানিতে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই দেশটিতে নিত্যপণ্যটির দর ৪০ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে যায়। পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির বাজারে পাইকারিতে প্রতি কুইন্টালের মূল্য দাঁড়ায় ১২৮০ রুপি (ভারতীয় মুদ্রা)।
সূত্র জানায়, সামনে ভারতে জাতীয় নির্বাচন। এর আগে পেঁয়াজের ওপর থেকে নরেন্দ্র মোদি সরকারের নিষেধাজ্ঞা ওঠানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। একরকম নেই বললেই চলে। কারণ, শীতকালীন মৌসুমে দেশটির শীর্ষ উৎপাদক অঞ্চল মহারাষ্ট্রে তুলনামূলক কম উৎপন্ন হয়েছে।
অবশ্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ কয়েকটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। সেই চুক্তি বজায় থাকতে পারে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]