
বেলুচিস্তানের কয়েকটি শহরে বিভিন্ন হ্যান্ড গ্রেনেড হামলায় পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কর্মীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন। বেলুচিস্তান ও করাচিতে রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অফিস লক্ষ্য করে একাধিক হ্যান্ড গ্রেনেড হামলা ও বিস্ফোরণের ঘটনায় পাকিস্তানের নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশে বেশ সহিংস হয়ে উঠেছে।
বেলুচিস্তানের কালাত শহরের মুঘলসরাই এলাকায় পিপিপি’র তিন কর্মী আহত হয়েছেন। অজ্ঞাত হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেলে করে দলীয় নির্বাচন অফিস লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায় এবং অফিস ভবনের নিকটবর্তী স্থানে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। খবর ডন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তারা হলেন- নসিবুল্লাহ, জহুর আহমেদ ও মোহাম্মদ রমজান। এছাড়া কোয়েটার পূর্ব বাইপাস এলাকায় দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণটি স্থানীয় সংগঠন ওলাসি জিরগার একজন প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসের কাছে ঘটে। এই হামলায় চারজন আহত হয়েছিল এবং পরে তাদের চিকিৎসার জন্য সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ডনের তথ্য মতে, দ্বিতীয় বিস্ফোরণে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রথম আক্রমণের কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয়টি ঘটেছিল।
খারানে, একজন রিটার্নিং অফিসার এবং বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির (বিএপি) প্রার্থী মীর এজাজ সঞ্জরানির অফিসের কাছে দুটি বোমা পাওয়া গেছে। তবে সেগুলো বিস্ফোরণের আগেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কেচ জেলার মান্দ এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িবহর লক্ষ্য করে আরেকটি হামলা চালানো হয়। পাঞ্জগুরে ন্যাশনাল পার্টির প্রাদেশিক সভাপতি রহমত সালেহর বাসভবনে হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে সম্পত্তির আংশিক ক্ষতি হয়। একইভাবে গোয়াদারের জেওয়ানি শহরে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। গ্রেনেডটি ছাদে বিস্ফোরণ ঘটে বলে কেউ হতাহত হয়নি।
এদিকে, কেচ জেলায় পিপিপি প্রার্থী মীর আবদুল রউফ রিন্ডের বাড়িতে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে তিনি সৌভাগ্যক্রমে অক্ষত রয়েছেন। তবে এই হামলার ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বেড়েছে বলে জানিয়েছে ডন। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর ফিদা হাকিম রিন্দ কেচ জেলার মান্দ এলাকায় তার গাড়িবহরে সশস্ত্র হামলার শিকার হন। করাচির সদর এলাকায় প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশনের (পিইসি) কার্যালয়ের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কমিশনের পার্কিং এলাকায় বিস্ফোরক ভর্তি একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ রেখেছিল, যা পরে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী সরিয়ে ফেলেন।
এই ঘটনাগুলি নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অস্থিতিশীল প্রকৃতির উপর জোর দেয়। নির্বাচনের তারিখ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে প্রার্থী, রাজনৈতিক কর্মী এবং নাগরিকদের সুরক্ষার উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
সূত্র: ডন
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]