ধারণার চেয়েও ২০ শতাংশ বেশি বরফ গলে গেছে গ্রিনল্যান্ডে
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৯
ধারণার চেয়েও ২০ শতাংশ বেশি বরফ গলে গেছে গ্রিনল্যান্ডে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর আগের ধারণার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি গলে গেছে। গত ২ দশকে গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর থেকে প্রায় ৫ হাজার গিগাটন বরফ গলে গেছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ।


বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বুধবার বিজ্ঞান ভিত্তিক সাময়িকী নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়। গত চার দশক ধরে স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে হিমবাহের এই বরফ গলে যাওয়ার চিত্র পাওয়া গেছে। গবেষণায়, যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা ১৯৮৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত হিমবাহের অবস্থানের প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার স্যাটেলাইট চিত্র সংকলন করেছেন। সেখানে হিমবাহগুলোকে গলে সমুদ্রের সাথে মিলিত হতে দেখা যায়।


পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, গত দুই দশকে গ্রীনল্যান্ডের বরফের স্তর থেকে প্রায় ৫ হাজার গিগাটন বরফ গলেছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে একটি প্রধান ভূমিকা রাখছে।


নতুন গবেষণায়, যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা ১৯৮৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত হিমবাহের গলন অবস্থানের প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার স্যাটেলাইট চিত্র সংকলন করেছেন।


গবেষণা রিপোর্টের প্রধান লেখক নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির হিমবিজ্ঞানী চ্যাড গ্রিন এএফপিকে বলেছেন, গত কয়েক দশক ধরে গ্রিনল্যান্ডের প্রায় প্রতিটি হিমবাহ পাতলা হয়ে গেছে বা সরে গেছে।


তিনি বলেন, সত্যিই কোনও ব্যতিক্রম নেই এবং এটি একযোগে সর্বত্র ঘটছে।


গবেষকরা দেখেছেন, গ্রীনল্যান্ডের প্রান্তের চারপাশে ১ হাজার গিগাটন (১ গিগাটন সমান ১ বিলিয়ন টন) বা ২০ শতাংশ বরফ যা গত চার দশক ধরে গলে গেছে।


নেচার জার্নালে গবেষকরা বলেছেন, সাম্প্রতিক দশকে গ্রীনল্যান্ডের বরফের স্তর আগের ধরণার চেয়ে বেশি গলে গেছে।


যেহেতু দ্বীপের প্রান্তের বরফ ইতোমধ্যেই সমুদ্রে মিশেছে, তাই লেখকরা জোর দিয়ে বলেছেন, এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।


এখাবে সামগ্রিক বরফ গলে যেতে পারে। যার ফলে হিমবাহগুলো আরও সহজেই সমুদ্রের দিকে পাড়ি জমাতে পারে।


গবেষকরা দেখেছেন, গ্রীনল্যান্ডের হিমবাহগুলো ঋতু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল, যা শীতকালে প্রসারিত হয় এবং গ্রীষ্মে সংকুচিত হয়।


এছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব হিমবাহগুলোর জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল এবং ১৯৮৫ সাল থেকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে এই পরিবর্তন ঘটছে।


অ্যান্টার্কটিকার পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিমবাহ গ্রীনল্যান্ডের বিশাল বরফের স্তর গলে যাওয়া ২০০২ সাল থেকে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে ২০ শতাংশের বেশি অবদান রেখেছে বলে অনুমান করা হয়।


সমুদ্র পৃষ্ঠের ক্রমবর্ধমান উচ্চতা বৃদ্ধি উপকূলীয় এবং দ্বীপ অঞ্চলগুলোতে প্লাবনের হুমকি সৃষ্টি করছে। এসব অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ বাস করে। সমগ্র দ্বীপ দেশগুলো এবং সমুদ্রের তীরের শহরগুলোকে ডুবিয়ে দিতে পারে।


অ্যান্টার্কটিকার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রীনল্যান্ডের হিমবাহের বরফ গলে সমুদ্র পৃষ্ঠের ক্রমবর্ধমান উচ্চতা বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় দ্বীপ অঞ্চলগুলোতে প্লাবনের হুমকি সৃষ্টি করছে। বরফ গলা পানি সমগ্র দ্বীপ দেশগুলো এবং সমুদ্রের তীরের শহরগুলোকে ডুবিয়ে দিতে পারে। এসব অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ বাস করে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com