
ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানির সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান পুলিশ। গত বুধবার ইরানের দক্ষিণ-পূর্বের অঞ্চল কেরমানে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। দুটি বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিল। নিহতদের দাফনের সময় উপস্থিত শোকার্তরা ‘প্রতিশোধ’ ‘প্রতিশোধ’ বলে স্লোগান দিয়েছে।
৬ জানুয়ারি, শুক্রবার স্থানীয় সময় এ কথা জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের ওই হামলায় বিস্ফোরণে ৮৪ জন নিহত এবং বহুসংখ্যক মানুষ আহত হয়।
তেহরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর এ ধরনের হামলা আর হয়নি। গত বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী বুধবার ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমানে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী কেরমানে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে সমর্থন করার জন্য ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। ইরানের অন্যান্য অঞ্চল থেকেও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে আরো ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির প্রতিবেদনে দেখা যায়, নিহতদের কফিন ধরে মানুষ কাঁদছে এবং প্রতিশোধ, প্রতিশোধ বলে স্লোগান দিচ্ছে।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাসেম সোলাইমানি ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরাকে নিহত হন।
দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের এজেন্টরা বিস্ফোরক ডিভাইস, কাঁচামাল, বিস্ফোরক ভেস্ট, রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, ডেটোনেটর এবং বিস্ফোরক ভেস্টে ব্যবহৃত হাজার হাজার প্লেট জব্দ করেছে। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের একজন তাজিকের নাগরিক বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) বৃহস্পতিবার তাদের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছে, তাদের দুই সদস্য সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীতে জড়ো হওয়া ভিড়ের মধ্যে বিস্ফোরণ করেছিল।
নিহতদের দাফন অনুষ্ঠানে কেরমানের বিপ্লবী গার্ড কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেন সালাইমানি বলেন, আপনি যেখানেই থাকুন আমরা আপনাকে খুঁজে পাব।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, আমাদের বাহিনী কোথায় কোথায় পদক্ষেপ নেবে সেই স্থান এবং সময় নির্ধারণ করবে।
২০২২ সালেও ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইরানের একটি শিয়া মাজারে হামলা চালায়। এ ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]