হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি নেতা ২২ বছর বয়সী টনি চুং পালিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তিনি হংকংয়ে পুলিশের ক্রমাগত চাপের মধ্যে ছিলেন বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থি সংগঠনের সাবেক নেতা টনি চুং বলেছেন, পুলিশ তাকে ‘প্রচুর চাপের’ মধ্যে ফেলেছিল। আতঙ্ক ও অব্যাহত নজরদারির কারণে তিনি হংকং ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে গেছেন। সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন তিনি।

চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২১ সালে টনি চুংয়ের কারাদণ্ড হয়েছিল।

হংকংকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০২১ সালের নভেম্বরে টনি চুংকে ৪৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তখন তার বয়স ছিল ২০ বছর। জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় টনির বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করা হয়েছিল।

কয়েক মাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভকারীদের দমনে ২০২০ সালে হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করে বেইজিং। এ আইনের আওতায় বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতা, বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ ও চরমপন্থার মতো অপরাধের সাজা যাবজ্জীবন পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ফেসবুকে টনি লিখেছেন, ছয় মাস ধরে কোনো আয়-উপার্জন নেই। জাতীয় নিরাপত্তা পুলিশের কর্মকর্তারা আমাকে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য জোরজবরদস্তি ও প্ররোচিত করছেন।

তিনি আরও বলেন, অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত আমি মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়েছি। এ সময়ে আমি পশ্চিমা ও চীনা চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। তারা সবাই আমাকে বলেছেন, মানসিক চাপ ও অন্যান্য মনস্তাত্ত্বিক কারণে আমার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

টনি চুং ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ২০২৩ সালের জুনে তিনি আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পান। ভালো আচরণের কারণে তার আটকের মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়েছিল।

হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থি সংগঠন স্টুডেন্টলোকালিজমের সাবেক নেতা চুং। নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার আগে ২০২০ সালে সংগঠনটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীন থাকা হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কথা ছিল, অঞ্চলটি হবে উচ্চ মাত্রায় স্বায়ত্তশাসিত। তবে গণতন্ত্রপন্থি কর্মী ও পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করে থাকে যে চীন সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বেইজিং।

বিবার্তা/লিমন