চীনে প্রায় চার দশক পর তাপমাত্রা সবচেয়ে কম দেখা গেছে বেইজিংয়ে। পুরু বরফের চাদরে ঢেকেছে রাস্তাঘাট। যার ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে তাপমাত্রা নেমেছে মাইনাস ৪৭ ডিগ্রিতে।
খবরে বলা হয়েছে, রাস্তার বরফ গলাতে ব্যবহার করা হচ্ছে লবণ। দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র একই চিত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে চীনা প্রশাসন।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে চীনের তাপমাত্রা মাইনাস ৪৭.৯ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৯৮০ সালের জানুয়ারি মাসে চীনের হেইলংজিয়াংয়ের ইচুন প্রদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৪৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেছে।
১৯৮০ সালের পর এমন ঠান্ডা পড়ল চিনে। তুষারপাতের পাশাপাশি বইছে কনকনে ঠান্ডা বাতাসও। কোথাও কোথাও রেকর্ড হারে হচ্ছে তুষারপাত। সেদেশের শাং শি, হেবেই এবং লিয়াওনিং প্রদেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে শোচনীয়।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রচণ্ড তুষারপাত ও ঠান্ডার কারণে গত সপ্তাহ থেকে বেইজিংয়ের স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ কমে গেলে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গাড়ি চলাচল তো বটেই, রাস্তায় এমনভাবে বরফ জমে রয়েছে যে হাঁটাচলা করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
চীনে এমন অবস্থায় বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। বরফ গলানোর জন্য রাস্তায় প্রতিনিয়ত লবণ ছড়ানো হচ্ছে। খুব একটা প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। প্রতিবছর এই সময় স্বাভাবিক ঠান্ডাই পড়ে চীনে। কিন্তু এই বছরের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]