ইসরায়েল যুদ্ধের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উৎখাতের নীতি বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ করেছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। এটা ‘আইনি গণহত্যার সংজ্ঞা’র মধ্যে পড়ে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
১০ ডিসেম্বর, রবিবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জর্ডানের এই মন্ত্রী বলেন, ইসরায়েল চলমান যুদ্ধের মাধ্যমে ঘৃণা তৈরি করেছে; যা এই অঞ্চলকে তাড়িয়ে বেড়াবে। আগামী কয়েক প্রজন্ম এই যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়াবে।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের সঙ্গে জর্ডানের সীমান্ত রয়েছে। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভের পর বহু ফিলিস্তিনি জর্ডানে আশ্রয় নেয়। সাফাদি বলেন, ইসরায়েল যে ঘৃণার জন্য দিয়েছে তা এই অঞ্চলকে তাড়িয়ে বেড়াবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেমন হবে, তা বাতলে দেবে।
তিনি বলেন, গাজায় আমরা যা দেখতে পাচ্ছি তা কেবল ইসরায়েল কর্তৃক নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যা এবং তাদের জীবিকা ধ্বংসই নয়; বরং গাজাকে মানুষশূন্য করার পদ্ধতিগত প্রচেষ্টা।
সাফাদি আরও বলেন, যুদ্ধ বন্ধে অকুণ্ঠ সমর্থনের দাবির প্রশ্নে বিশ্বকে যেভাবে এগিয়ে আসা দরকার ছিল, তা আমরা হতে দেখিনি। এই যুদ্ধ গণহত্যার আইনি সংজ্ঞার মধ্যেই পড়বে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল যদিও দাবি করে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে এই হামলা; তবে যেভাবে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে লক্ষ্য করে নির্বিচারে বোমা হামলা এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে, তা তাদের কথার সঙ্গে মিলছে না।
সাফাদি আরও বলেন, গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে আরব দেশগুলোর মন্ত্রীদের এক বৈঠকে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বড় ধরনের মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সামরিক সহায়তা ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে ওয়াশিংটনের অস্বীকৃতি ঘিরে এই বিরোধ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা ও মানবাধিকার সংগঠনের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে নির্মুল করার লক্ষ্যে গাজায় এই যুদ্ধ চলছে বলে দাবি করেছেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। যুদ্ধ অবসানের দাবিকে হামাসের প্রতি সহায়তার শামিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]