চলতি নভেম্বরেই পাকিস্তানে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সংবিধান অনুযায়ী নভেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের কথা থাকলেও নানা কারণ দেখিয়ে কালক্ষেপণ করে আসছে নির্বাচন কমিশন। তবে এবার দেশটির নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলো।
ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
গত ৯ আগস্ট শাহবাজ শরিফের পিএমএল (এন) জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়লে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এরপর থেকে দেশ পরিচালনা করছে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ ভাঙার ৯০ দিনের ভেতর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সে হিসেবে চলতি নভেম্বর মাসেই দেশের নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা ছিল নির্বাচন কমিশনের। তবে কমিশন বলছে, সবশেষ জনশুমারি অনুযায়ী সংসদীয় এলাকা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচনে গেলে তাদের অন্তত চার মাস সময় লাগবে।
পাকিস্তানে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতের দায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের। এই ম্যান্ডেট নিয়েই গত আগস্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। তবে প্রধান বিরোধী নেতা ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খানকে কারাগারে বন্দি রাখার পাশাপাশি দলটির নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত থাকায় আনোয়ার আদৌ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]