জ্বালানির অভাবে গাজার ছয়টি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গাজা উপত্যকায় জ্বালানি তেল না পৌঁছালে সেখানকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছাবে বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এ সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচও বলেছে, গাজায় জরুরিভিত্তিতে জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ না করা হলে, শিগগিরই হাজার হাজার রোগীর মৃত্যুর সাক্ষী হবে বিশ্ব। এরই মধ্যে জ্বালানির অভাবে গাজার ৪০টি চিকিৎসা কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
অবিলম্বে জ্বালানি না পেলে আজ বুধবার রাত থেকে গাজায় কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হবে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ ও বুধবার পৃথক এক বিবৃতিতে গাজার হাসপাতাল, ও পানি সরবরাহকেন্দ্র চালু রাখার জন্য সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর কো অর্ডিনেশন অব হিম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওচা) এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা উপত্যকার হাসপাতাল, বেকারি এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে চালু রাখার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ৮০০ লিটার ডিজেল ও পেট্রোল প্রয়োজন।
৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপত্যকা গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের হামলার পর থেকেই হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতার তিনগুণ রোগী রয়েছে। আবার যুদ্ধ থেকে বাঁচতে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে হাজারও বাস্তুচ্যুত মানুষ।
জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে গাজাবাসীকে।
এদিকে হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এর জেরে গুতেরেসের পদত্যাগ দাবি করেছে ইসরায়েল।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]