২০২১ সালে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয়ার এক মাসেরও কম সময়ে নতুন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। তবে সেই সরকারকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি বেশির ভাগ দেশ। কিছু দেশ আবার সহায়তার হাতও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই তালিকায় প্রথম সারিতে আছে চীন। দেশটি আফগানিস্তানে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার তালেবানের ঘোষণা চীনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘোষণা আফগানিস্তানে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময়ের নৈরাজ্যের অবসান ঘটিয়েছে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দেশ পুনর্গঠনের জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কাবুলে তালেবানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেছেন নতুন চীনা রাষ্ট্রদূত। এক জমকালো আয়োজনে রাজধানী কাবুলে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাও জিংকে স্বাগত জানান তালেবান নেতারা।
এক প্রতিবেদনে জানান হয়েছে, সে সময় দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ এবং ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও উপস্থিত ছিলেন।
তবে এবারই প্রথম নয়, আগে থেকেই আফগানিস্তানে রাষ্ট্রদূত বহাল রেখেছে চীন। এর আগে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়াং ইউ। গত মাসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হয়।
সরকার গঠনের আগেই অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে চীনের প্রতি নিজেদের ইতিবাচক মনোভাবের জানান দিয়েছিলেন তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চীন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ ও পুনর্নির্মাণে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
তালেবান মুখপাত্র জানান, আফগানিস্তানে সমৃদ্ধ কপার খনি রয়েছে, এগুলো উৎপাদন ও আধুনিকায়নে সহায়তা করবে চীন। তাদের সুবাদে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাব।
বিবার্তা/পুলক/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]