স্ত্রীর থেকে দূরে থাকতেই সশরীরে অফিস করতে স্বাচ্ছন্দ্য পুরুষের: জরিপ
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৪৬
স্ত্রীর থেকে দূরে থাকতেই সশরীরে অফিস করতে স্বাচ্ছন্দ্য পুরুষের: জরিপ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

করোনা মহামারির পর ‘হোম অফিস’ ছেড়ে আবারও সশরীরে অফিস করছেন চাকরিজীবী নারী-পুরুষেরা। তবে এখনো এমন অনেকেই আছেন যারা বাড়িতে থেকেই অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন। নারী ও পুরুষভেদে হোম অফিস ও সশরীরে অফিসকে বেছে নেওয়ার কিছু তারতম্য আছে।


সমীক্ষায় দেখা গেছে, কিছু সময়ের জন্য স্ত্রী কিংবা পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকতে অফিসে যাওয়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন অসংখ্য পুরুষ। বলা হচ্ছে, পরিবারকে এড়ানোর জন্য যারা অফিসে যাওয়ার অপশনটিকে বেছে নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা দ্বিগুণ।


দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী ও পুরুষের অফিসের যাওয়ার প্রবণতা ও কারণ নিয়ে জরিপটি পরিচালনা করেছিল যুক্তরাজ্যের শেয়ারে অফিস স্পেস সরবরাহকারী কোম্পানি ‘রানওয়ে ইস্ট’।


সমসংখ্যক নারী-পুরুষের মধ্যে পরিচালিত জরিপটিতে অফিসে যাওয়ার কারণ হিসেবে ‘পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকা’র অপশনটি বেছে নিয়েছিলেন প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ। আর যারা এই অপশনটি বেছে নেন তাঁদের মধ্যে নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা ছিল দ্বিগুণ।


অন্যান্য অপশনের মধ্যে অফিস থেকে ব্যক্তিগত কাজের উদ্দেশে স্টেশনারি সংগ্রহ করার মতো বিষয়টিকেও বেছে নিয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুরুষ। এ ছাড়া অফিসে আড্ডাবাজির মতো বিষয়গুলোও নারীর তুলনায় পুরুষকে বেশি আকৃষ্ট করে। অফিসে গেলে নতুন মানুষদের সঙ্গে পরিচয় এবং পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হওয়ার অপশনটিকে নারীর তুলনায় পুরুষেরা দ্বিগুণ হারে বেছে নিয়েছেন।


রানওয়ে ইস্টের ওই জরিপটিকে শক্ত ভিত্তি দিচ্ছে অন্যান্য কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনও। এর মধ্যে গত জুনে প্রকাশিত মার্কিন ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিকসের প্রতিবেদনটি অন্যতম। ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, করোনা মহামারির পর পুরুষেরা নারীদের তুলনায় অনেক বেশি হারে অফিসে ফিরেছেন। নারীরা গৃহস্থালির কাজগুলোতে সময় দেওয়ার বিষয়টিকে বেশি হারে বেছে নিয়েছেন।


এছাড়া যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ‘অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস’-এর (ওএনএস) এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাড়িতে থেকে বা হোম অফিস করার বিষয়টি পছন্দ করা কর্মীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা অনেক বেশি। তারা মনে করেন, হোম অফিস করলে কাজ শেষ করার জন্য বাড়তি সময় পাওয়া যায় এবং ভুল-ভ্রান্তিও কম হয়।


রানওয়ে ইস্টের জরিপে বেরিয়ে এসেছে, মহামারি শুরু হওয়ার পরও অফিসগুলো কার্যত বন্ধ হয়ে যায়নি। অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ওই সময়টিতে কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে হাইব্রিড পদ্ধতিকে বেছে নিয়েছিল। তবে জরিপটি এটাও বলছে যে, অফিসগুলোকে কর্মীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে। জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে অন্তত একজন অফিসে যাওয়ার কারণ হিসেবে ভালো কফি পান করতে পারার অপশনটিকে বেছে নিয়েছেন।


রানওয়ে ইস্ট-এর প্রধান নির্বাহী নাতাশা গুয়েরা বলেন, যে সব মানুষ অফিসে যেতে চায় না- আসলে তারা যাতায়াতের বিষয়টি পছন্দ করেন না এবং কাজের জন্য একটি ডেস্কের চেয়েও বেশি কিছু চান তারা।


মহামারি কাজের প্রতি মনোভাবেও বড় পরিবর্তন এনেছে। মার্কিন ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিকসের গবেষণায় দেখা গেছে, মহামারি শেষ হলেও ২০২২ সালে এক-তৃতীয়াংশ কর্মী কিছু হারে কিংবা সমস্ত কাজ বাড়ি থেকেই করেছেন। মহামারির আগের বছরটির (২০১৯) তুলনায় যা প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। আর বাড়ি থেকে যেখানে ২৮ শতাংশ পুরুষ কাজ করছেন নারীর সংখ্যা সেখানে ৪১ শতাংশ।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com