করোনার পর বিশ্বের নতুন আতঙ্ক ‘ডিজিজ এক্স’
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৩৯
করোনার পর বিশ্বের নতুন আতঙ্ক ‘ডিজিজ এক্স’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্বজুড়ে চলমান প্রাণঘাতী অতিমারি করোনার পর আবারো দেখা দিয়েছে নতুন এক মহামারির আশঙ্কা। ভয়াবহ এই মহামারির নাম ‘ডিজিজ এক্স’।


তবে জানা গিয়েছে, ভয়াবহ এই রোগটি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আগেই আবিষ্কার করা হচ্ছে এর ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছেন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা।


ইউকে হেলথ অ্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্সির ( ইউকেএসএইচএ) বিজ্ঞান ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ক্যাম্পাসে চলছে এর ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। ২০০ জন বিজ্ঞানীর একটি দল সেখানে কাজ করছেন।


বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনে ‘ডিজিজ এক্স’ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আগেই স্তিমিত হয়ে যাবে। এই মহামারিটি করোনার মতো তাণ্ডব চালাতে পারবে না।


ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) প্রধান প্রফেসর ডেম জেনি হ্যারিস বলেন, আমরা এখানে আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি যদি নতুন ডিজিজ এক্স বা একটি নতুন প্যাথোজেন পাওয়া যায় তাহলে তা মোকাবিলার জন্য অগ্রিম কাজ করে রাখছি।


তিনি আরও বলেন, আশা করি আমরা এই নতুন মহামারিটি প্রতিরোধ করতে পারব। কিন্তু যদি আমরা না পারি সেকারণে আমরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন এবং থেরাপিউটিকস তৈরি করতে শুরু করেছি।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিজ্ঞানীদের ‘ডিজিজ এক্স’র ভ্যাকসিন তৈরির জন্য মোট ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য সরকারই এর জন্য ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি নরওয়ের গেটস ফাউন্ডেশন এবং ওয়েলকাম ট্রাস্টও এই সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


ডিজিজ এক্স কী?


বিজ্ঞানীরা পশু ভাইরাসগুলির একটি তালিকা তৈরি করেছে যেগুলো এক সময় মানুষকে সংক্রমিত করতে সম্ভব। কিন্তু এই ভাইরাসের সম্পর্কে কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি যার কারণে এই ভাইরাসটি ‘ডিজিজ এক্স’ নামে পরিচিত।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ‘ডিজিজ এক্স’ কথাটির অর্থ হলো, এমন একটি রোগ যা অতিমারি ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেই রোগটির প্যাথোজেন কীভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা অজানা।


ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের অধ্যাপক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মার্ক উলহাউস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এমন একটি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যা যে কোনো সময়ে নতুন একটি অতিমারি সৃষ্টি করতে পারে।


কেমন হতে পারে এই ‘ডিজিজ এক্স’?


বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটিও এক ধরনের Zoonotic রোগ হওযার আশঙ্কাই বেশি।


কী এই Zoonotic রোগ?


সাধারণত মানুষ থেকে অন্য প্রাণীদের মধ্যে বা অন্য প্রাণীদের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে এমন রোগকেই Zoonotic রোগ বলা হয়। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা তেমনই কোনো অসুখ হতে চলেছে এই ‘ডিজিজ এক্স’।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com