তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৫ আগস্ট, শনিবার তার লাহোরের বাসভবন জামান পার্ক থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, গ্রেফতারের আগে ইমরানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে তাকে এ সাজা দেয়া হয়। এর মানে পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ৫ বছর রাজনীতি করতে পারবেন না তিনি।
গত ১০ মে ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এতে তার বিরুদ্ধে দেশটির কোষাগার তোশাখানার মালামাল অবৈধভাবে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়।
যে মামলার রায়ে আদালত বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তোশাখানার উপহার নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন ইমরান। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাকে জেল দেয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে ইমরানের আইনজীবী ইন্তেজার হুসেন পাঞ্জুথা জানিয়েছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা। একে ‘রাজনৈতিক শিকারের’ মামলা বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আইনজীবী পাঞ্জুথা বলেন, ইমরানকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেয়া হয়নি। আমরা তার পক্ষে সাক্ষী দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাকে এ সুবিধা দেয়া হয়নি। তার সুষ্ঠু বিচার হয়নি।
গত বছর জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান। এরপরই তোশাখানা মামলা হয়।
সে সময় দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ী দাবি করেন, বিদেশ থেকে উপহার পাওয়া ঘড়ি ২০ লাখ ডলারে তার কাছে বিক্রি করেছেন ইমরান। ২০১৯ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে তাকে সেটি উপহার দেন সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
ওই অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে ইমরানকে ৫ বছর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। গত অক্টোবরে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। তবে আদালত তা খারিজ করে দেন।
পাশাপাশি আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার ইমরানকে মুখোমুখি হতে নির্দেশ দেন। এরপর গত মে মাসে ইসলামাবাদ পুলিশ লাইন্সের বিশেষ আদালত ক্রিকেটার কাম রাজনীতিককে দোষী সাব্যস্ত করেন।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]