দানবের মতো আচরণ না হলেও আকারে সে দানবের মতোই। টোডজিলা নামের একটি ব্যাঙ সবচেয়ে বেশি ওজনের ব্যাঙ হিসেবে বিশ্বরেকর্ড করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর কুইন্সল্যান্ডে কনওয়ে ন্যাশনাল পার্কে দানব আকারের এই ব্যাঙের দেখা মিলেছে। ব্যাঙটির আকার এতটাই বিশাল যে, কল্পকাহিনির সবচেয়ে বড় দৈত্য গডজিলার আকারের সঙ্গে তুলনা করে এটিকে ‘টোডজিলা’ নাম দেওয়া হয়েছে। কাইলি গ্রে নামে পার্কের এক কর্মী প্রায় তিন কেজি ওজনের ব্যাঙটি খুঁজে পান। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাঙটি একটি নবজাতক মানব শিশুর ওজনের সমান!
কাইলি গ্রে জানান, তিনি গত সপ্তাহে পার্কের অভ্যন্তরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি সাপ দেখে তিনি গাড়িটি থামাতে বাধ্য হন। সাপটি ওই ব্যাঙ থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাইছিল।
কাইলি আরও বলেন, ব্যাঙটির মুখের আকার এতটাই বড় যে, এটি বড় ধরনের পোকামাকড়, সরীসৃপ বা ছোট ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী খেয়ে ফেলতে পারে। যে সাপটি পালিয়ে গেছে, ব্যাঙটি হয়তো সেটিকে খেয়ে ফেলার জন্য ধাওয়া করছিল। কাইলি বলেন, সাপটি চলে যাওয়ার পর আমি ব্যাঙটি দেখি। যখন ব্যাঙটি ধরলাম, সেটি যে কত বড় ও ভারী ছিল–বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই আমি ব্যাঙটির নাম দিয়েছি টোডজিলা। এটিকে আমি একটি নিরাপদ পাত্রে রেখেছি, যাতে অন্য বন্যপ্রাণীরা আক্রমণ করতে না পারে। কুইন্সল্যান্ডের পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগ জানিয়েছে, টোডজিলা নাম দেওয়া ব্যাঙটির ওজন প্রায় তিন কেজি।
এটি বিশ্বরেকর্ড হতে পারে। কারণ, এর আগে এত ওজনের ব্যাঙের ‘হদিস’ পাওয়া যায়নি। টোড জাতের ব্যাঙের বৈজ্ঞানিক নাম ‘রাইনেলা মেরিনা’। এ প্রজাতির ব্যাঙ নিওট্রপিকাল টোড বা মেরিন টোড নামেও পরিচিত। এ ধরনের ব্যাঙ দক্ষিণ আমেরিকা, ওশেনিয়া ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে পাওয়া যায়।
১৯৩৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি স্থানে এসব ব্যাঙ পাওয়া যেত। অস্ট্রেলিয়ার এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ব্যাঙটি নারী। এ ধরনের ব্যাঙ ১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। আকারে বিশাল হওয়ায় কুইন্সল্যান্ড মিউজিয়াম টোডজিলাকে নিতে আগ্রহী।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]