
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ঊর্ধ্বগতি ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কমাতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ সরকার। বর্তমানে নতুন দর অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৪ টাকা লিটার। এছাড়া অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে।
এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে শনিবার প্রতি লিটারে পেট্রোলের সর্বোচ্চ দাম ছিলো মুম্বাইয়ে ১১১.৩৫ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৩৩ টাকা ৫২ পয়সা (১ রুপি=১.২০ টাকা হিসাবে)। একই সময় দিল্লিতে পেট্রোলের সর্বনিম্ন দাম ৯৬.৭২ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় দিল্লি থেকে এক লিটার পেট্রোল কিনতে লাগবে ১১৫ টাকা ৯৭ পয়সা। কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১০৬.০৩ রুপি বা ১২৭ টাকা ১৪ পয়সা।
এই হিসাব অনুযায়ী, মুম্বাইয়ে পেট্রোলের দাম বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকলেও দিল্লি ও কলকাতা থেকে ভারতীয়রা বাংলাদেশের চেয়ে কম দামে পেট্রোল কিনতে সক্ষম হয়েছেন।
ভারতে প্রতিদিন রাত ১২টার পর আন্তর্জাতিক অপরিশােধিত তেলের দাম হিসাবে সমন্বয় করা হয় পেট্রো পণ্যের দাম। সেই হিসাব অনুযায়ী শনিবার দেশটির মুম্বাইয়ে ডিজেলের সর্বোচ্চ দাম ৯৭.২৮ রুপি (১১৬.৬৪ টাকা) রেকর্ড করা হয়। পেট্রোলের মতো ডিজেলেরও সর্বনিম্ন দাম দিল্লিতে। এদিন দেশটির রাজধানীতে ডিজেল বিক্রি হয়েছে ৮৯.৬২ রুপিতে। অর্থাৎ, বাংলাদেশি ১০৭ টাকা ৫১ পয়সায় দিল্লি থেকে এক লিটার ডিজেল ক্রয় করা সম্ভব। কলকাতায় শনিবার ডিজেলের দাম ছিলো ৯২.৭৬ রুপি বা ১১১.২২ টাকা।
এই হিসাব অনুযায়ী, মুম্বাইয়ে ডিজেলের দাম বাংলাদেশের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকলেও দিল্লি ও কলকাতা থেকে ভারতীয়রা বাংলাদেশের চেয়ে কম দামে ডিজেল কিনতে সক্ষম হয়েছেন।
ব্যাপক দাম বৃদ্ধির পরে ভারতে কিছুটা দাম কমায় আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ভারতের সাধারণ মানুষ। গ্রাহকরা বলছে- এই দাম অনেকটাই তাদের গা-সওয়া হয়ে গেছে। ভারতে পেট্রোপণ্যের ওপর ট্যাক্স ছাড় দেয়ার পরেও বর্তমান দামের ওপর প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি ট্যাক্স আদায় করে থাকে ভারত সরকার। কিন্তু এরপরও ভারতীয় নাগরিকরা পায় না ১০০ শতাংশ পেট্রোল বা ডিজেল।
ডলারের ওপর চাপ কমাতে গত কয়েক বছর ধরেই পেট্রোলের সঙ্গে ইথানোর ব্লেন্ড করে আসছে ভারত সরকার। চলতি বছর থেকে পেট্রোপণ্যের ৮০ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ ইথানল মেশানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারত সরকার।
ভারতে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করা হয় ইরাক ও সৌদি আরব থেকে। কিন্তু সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর দশম স্থান থেকে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। নিষেধাজ্ঞার মুখে কম মূল্যে রাশিয়ার তিল কিনে লাভবান হয়েছে ভারত।
এতোদিন বাংলাদেশে কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা এবং পেট্রোল ৮৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]