
বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে পুতিনের কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনিকে ‘সন্ত্রাসী এবং চরমপন্থি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে রাশিয়া।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাশিয়ার ফেডারেল ফাইন্যান্সিয়াল মনিটরিং সার্ভিস প্রধান সহযোগী লুবভ সোবলসহ নাভালনিকে নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
নাভালনির দুর্নীতি বিরোধী ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, নাভালনির মোট নয়জন সহযোগীকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত বছর নাভালনির এই দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠানকে ‘চরমপন্থি’ সংগঠন আখ্যা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।
সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি তালিকায় রাখার অর্থ- রাশিয়া তাদের দেশে থাকা ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী গ্রুপসহ বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার মতো নাভালনিকেও সন্ত্রাসী হিসেবে মনে করে ।
রাশিয়া গত বছর বিরোধীদের ওপর চরম দমনপীড়ন চালিয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে নাভালনিকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং তার রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর নাভালনির অধিকাংশ সহযোগী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
অ্যালেক্সি নাভালনি রাশিয়ায় পুতিনের সব থেকে বড় সমালোচক। ৪৪ বছর বয়সী রাজনীতিক নাভালনি গত বছরের আগস্টে প্রায় মরতে বসেছিলেন। সে সময় তিনি সাইবেরিয়ার টমসক শহর থেকে উড়োজাহাজে করে মস্কোয় ফিরছিলেন। যাত্রাপথে উড়োজাহাজেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজ সাইবেরিয়ার ও মস্কে জরুরি অবতরণ করে। সেখানকার একটি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানির বার্লিনে নেয়া হয়। সেখানে তিনি ধীরে ধীরে সেরে ওঠেন। বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে গত সেপ্টেম্বরে জার্মানি জানায়, নাভালনিকে রাশিয়ান নার্ভ এজেন্ট ‘নোভিচক’ প্রয়োগ করা হয়েছিলো। পরে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞরাও একই কথা বলেন।
বিষ প্রয়োগের জন্য সরাসরি পুতিনকে দায়ী করেন নাভালনি। তবে পুতিন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানে ক্রেমলিন কর্ণপাত করেনি। ক্রেমলিনের হুমকি উপেক্ষা করে গত ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরেন নাভালনি। বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। সূত্র: এএফপি
বিবার্তা/আশিক
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]