জনতার উদ্দেশে লেখা চিঠিতে লোকসভা নির্বাচনের ভরাডুবির সমস্ত দায় নিয়ে বুধবার ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়েছেন রাহুল গান্ধী।
পরদিনই তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা টুইট করে ভাইয়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়া সম্পর্কে তিনি রাহুলকে লেখেন, অল্প লোকেরই এমন সাহস আছে যা তুমি দেখালে। তোমার সিদ্ধান্তের জন্য গভীরতর শ্রদ্ধা।
বুধবার একটি দীর্ঘ চিঠি পোস্ট করেন রাহুল। গত মাসেই কংগ্রেস নেতাদের তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন তার সিদ্ধান্তের কথা। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, তিনি দায়িত্ব ছাড়ছেন কারণ কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি সন্দিগ্ধ। বিজেপিকে ঠেকাতে দলে আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
রাহুল তার চিঠিতে লিখেছেন, ভারতে এটা অভ্যাস যে ক্ষমতাবান ক্ষমতার সঙ্গে থাকে। কেউ ক্ষমতা ত্যাগ করে না। কিন্তু ক্ষমতার লিপ্সাকে ত্যাগ না করতে পারলে এবং গভীর আদর্শবাদী লড়াই না লড়লে আমরা আমাদের বিরোধীপক্ষকে হারাতে পারব না।
কংগ্রেসের আমূল পরিবর্তন চেয়ে রাহুল আরো লেখেন, দলকে পুনর্গঠন করতে প্রয়োজন কঠিন সিদ্ধান্তের। এবং ২০১৯-এর ব্যর্থতার জন্য বহু মানুষকে দায় নিতে হবে। দলের সভাপতি হিসেবে নিজের দায়িত্বকে এড়িয়ে অন্যদের দায়ী করা ঠিক নয়।
লোকসভা ভোটে ভরাডুরির দায় নিয়ে রাহুলের ইস্তফার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতির নাম নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে গেছে। আর দলের পরবর্তী প্রধান হওয়ার দৌঁড়ে দুই বর্ষীয়ান নেতা সুশীলকুমার শিন্ডে ও মল্লিকার্জুন খাড়গেকে এগিয়ে রাখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ঘটনাচক্রে এই দু'জনই কংগ্রেসে দলিত মুখ। সেইসাথে উভয় নেতাই গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত।
কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হওয়ার দৌড়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল শিন্ডেকে প্রাথমিকভাবে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। ৭৭ বছর বয়সী এই নেতা এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়া ২০০২ সালে এই দলিত নেতাকে সহ-সভাপতি পদেও মনোনীত করেছিল কংগ্রেস। গান্ধী পরিবারেরও যথেষ্ট আস্থা রয়েছে তার উপর। সূত্র: এনডিটিভি ও এই সময়
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]