বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে স্কুটি করে নদীর পাড় পর্যন্ত যান ঊষাকুমারী। এরপর স্কুটি জমা রেখে নদীতে একা একা নৌকা বেয়ে যান বিপদসঙ্কুল পাহাড়ি জঙ্গল পর্যন্ত। এরপর জঙ্গলপথে দু’ঘণ্টা হেঁটে পৌঁছেন স্কুলে। ওই স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ জন। ঘটনাটি ভারতের কেরালা রাজ্যের।
বিশ বছরের বেশি সময় ধরে এটাই প্রাত্যহিক কাজ এই শিক্ষিকার। একদিনের জন্যেও কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে দেরি করেন না তিনি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে বাড়ি না ফিরে থেকে যান কোনো শিক্ষার্থীর বাড়িতে। যাতে পরের দিন স্কুলে অনুপস্থিত না হতে হয়। খবর আনন্দবাজারের।
একটি মাত্র লাঠি সম্বল করে ঊষাকুমারী দু’ঘণ্টা হাঁটেন পাহাড়ি পথে। কুন্নাথুমালার ওই স্কুলে কান্নি উপজাতির পড়ুয়াদের জন্য ঊষাকুমারীই একমাত্র শিক্ষিকা। তিনিই তাদের যত্ন করে পড়ান গণিত, বিজ্ঞান ও ভাষা। শুধু পড়ানোই নয়। নিজের হাতে পরিবেশন করেন দুপুরের খাবার। বেতনের টাকা থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবস্থা করেন দুধ ও ডিমের।
নিজের বেতন কোনো কারণে অনিয়মিত হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের দুপুরের খাবারে দুধ ও ডিমের যোগান বন্ধ হতে দেননি তিনি। একান্তই তিনি না আসতে পারলে ব্যবস্থা করেছেন একজন কেয়ারটেকারের।
এ বিষয়ে ঊষাকুমারী বলেন, তার কাছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার হবে, যখন পরবর্তী সময়ে তার স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
এমন কাজের জন্য ঊষাকুমারী বহু স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার মধ্যে আছে কেরালা অ্যাসোসিয়েশন ফর ননফরমাল এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ‘সাক্ষরতা পুরস্কার’।
বিবার্তা/আবদাল/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]