কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ও দেশটির বিরোধী দলগুলোর আরও ১১ নেতা অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে যাচ্ছেন। তবে তাকে প্রশাসন এতে সহযোগিতা করছে না বলে জানা গেছে।

চলতি মাসের শুরুতে কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্ত শাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর থেকে সেখানে যোগাযোগ অচলাবস্থা চলছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য এবং জনসংযোগ অধিদফতর এক টুইটে জানায়, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ও হামলা থেকে যখন সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে রক্ষায় চেষ্টা করছে, তখন রাজনৈতিক নেতারা সেখানে সফরে গেলে অন্যান্য লোকজন অসুবিধায় পড়ে যাবেন।-খবর এনডিটিভির

কাশ্মীর সফরে যাওয়া সর্বদলীয় প্রতিনিধির মধ্যে কংগ্রেস, সিপিআই (এম), সিপিআই, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে’র সদস্যরা রয়েছেন।

সফরে রাহুল গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা গুলাম নবী আজাদ ও আনন্দ শর্মাও যাচ্ছেন। এর আগে গুলাম নবী আজাদ দুইবার কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তিনি এ চেষ্টা করেন।

রাহুলকে অবশ্য জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিক গত ১১ আগস্ট পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখতে কাশ্মীর সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন তিনি রাহুলের জন্য কেন্দ্র থেকে দেয়া উড়োজাহাজ পাঠাতেও চেয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, আমি রাহুল গান্ধীকে এখানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমি আপনাকে উড়োজাহাজ পাঠাব, যাতে আপনি এখানে এসে পরিস্থিতি দেখে তারপর কথা বলেন। আপনি একজন দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং আপনার এভাবে না দেখে কিছু বলা উচিত না।

কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিলের পর রাহুল বলেছিলেন, তিনি সেখানে সংঘর্ষ এবং বহু মানুষের মৃত্যুর খবর পাচ্ছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর তাকে ওই আমন্ত্রণ জানান।

গভর্নরের আমন্ত্রণ পাওয়ার দুই দিন পর রাহুল তা গ্রহণ করেন। কিন্তু ততক্ষণে গভর্নর তার মত বদলে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেন এবং রাহুলের ভ্রমণের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করেন। তিনি বিবৃতিও দেন।

বিবৃতিতে গভর্নর মালিক বলেন, রাহুল গান্ধী তার সঙ্গে বিরোধীদলের প্রতিনিধিদের আনতে চেয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। যা আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং এখানে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়তে পারেন।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে গুলাম নবী আজাদ বলেন, আমরা সব দায়িত্বশীল দল ও তাদের নেতারা কোনো আইন ভাঙতে যাচ্ছি না। জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।

গত ২০ দিন ধরে সেখানে অচলাবস্থা চলছে। সরকার বলছে-পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কিন্তু তারা কোনো রাজনৈতিক নেতাকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না।

বিবার্তা/রবি