
নিম তেতো হলেও আপনার জীবনে একটুখানি মিষ্টি এনে দিতে পারে। আপনার খাদ্য তালিকায় নিমের জুস যোগ করুন এবং সুস্থ থাকুন।
সুন্দর ত্বক: প্রায়ই দাগ এবং ব্রণ আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে। যার ফল হয় নিস্তেজ ও নির্জীব চেহারা। ব্রণ থেকে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস, ফুসকুড়ি ইত্যাদি দেখা দেয়। ত্বকের দ্বারা আমাদের জীবনধারা প্রতিফলিত হয় তাই নিজেকে তরুণ ও সুন্দর দেখতে চাইলে এর যত্ন নেয়া উচিত। নিমের জুস ত্বকের প্রায় সব ধরনের সমস্যার সমাধান করে। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রতিদিন নিমের জুস পান করুন। ব্রণের দাগ সারাতেও এটি সমানভাবে কার্যকর।
স্বাস্থ্যকর চুল: যদি সুস্থ চকচকে চুল চান, তাহলে ডায়েটে প্রতিদিন নিমের জুস রাখুন! এটা শরীর থেকে টক্সিন বের দেয় এবং এর হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য চুল উন্নত এবং উজ্জ্বল করে। চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল: নিমের জুসের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ম্যালেরিয়া, সাধারণ জ্বর এবং অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। জ্বর, ঠাণ্ডা বা সংক্রমণে নিমের জুসে এক চামচ মধু মিশিয়ে খান। প্রস্রাবের সংক্রমণেও এটি উপকারী।
হজম এবং পেট পরিষ্কার: আজকাল মানুষ কাজের ব্যস্ততায় অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত। এই ব্যস্ত জীবনধারা অস্বাস্থ্যকর ফাস্ট ফুড খেতে বাধ্য করে। যার কারণে গ্যাস্ট্রিক, পেটের সংক্রমণ, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম বাড়ে। নিমের জুস পান এই সব সাধারণ সমস্যা ও অস্বস্তি দূর করে। পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস আরোগ্যে: নিম আমাদের শরীরের শর্করার মাত্রা কমায়। তাই দৈনিক নিমের জুস পান করা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
লিভার: উন্নত যকৃতের জন্য নিমের জুস জাদুর মত কাজ করে। আজকাল প্রায়ই মানুষ বিভিন্ন কারণে, দুর্বল যকৃত সমস্যার সম্মুখীন হয়। নিমের রস যকৃতের অবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি: নিমের জুস দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করে। শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা সব সময় কম্পিউটার ও ফোনের পর্দায় তাকিয়ে থাকে যা ক্ষতিকর। নিয়ম করে প্রতিদিন রাতে চোখে সরাসরি নিমের জুস লাগালে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হবে।
পেশী এবং জয়েন্টের ব্যথা: নিমের জুস পান বা তেলের সাথে সামান্য মিশিয়ে ব্যথা, পেশীতে টান পড়লে এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এটি আজকাল আর্থ্রাইটিসের একটি নিরাময় হিসেবেও পরিচিত।
ক্ষত আরোগ্যে: নিমের আরোগ্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ক্ষত স্থানে এর রস লাগালে দ্রুত আরোগ্য হবে। এটি লাগালে ক্ষতস্থানের লালভাব এবং ফোলা কমে যায়।
স্বাস্থ্যকর দাঁত ও মাড়ি: নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, মাড়ির রক্তপাত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধ করতে নিমের জুস পান করতে পারেন।
বিবার্তা/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]