তৃষ্ণা মেটাতে আমরা কী করে থাকি? পানি পান করি, তাই তো? এই পানিটি যদি আরেকটু স্বাস্থ্যকর ও মজাদার করে পান করা যায়, তবে কেমন হয়? শরীরকে হাইড্রেটেড করে পানিশূনতা দূর করা পানির প্রধান কাজ। এই পানির সাথে যদি অল্প কিছু শসা কুচি মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি পানির চাহিদা পূরণ করার সাথে সাথে অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে দিবে। শসাপানি পানের স্বাস্থ্য উপকারিতা আসুন জেনে নেয়া যাক।
পানিশূন্যতা দূর করতে: শসাপানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে ও শরীরে সঠিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে, শরীরের টক্সিন পদার্থ দূর করে থাকে পানি। সারাদিনের কাজের শক্তি দিয়ে থাকে শসাপানি।
পেশি মজবুত করতে: শসাতে স্যালিক নামক উপাদান রয়েছে এই মিনারেলটি টিস্যুকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে। ব্যায়াম করার পর এক বোতল শসাপানি পান করুন। এটি পেশি মজবুত করতে সাহায্য করবে।
ওজন কমাতে: আপনি কি ওজন কমাতে চাচ্ছেন? বাইরের কোক, সোডা জাতীয় পানীয় পান করার পরিবর্তে শসাপানি পান করুন। আপনি চাইলে এটি সারাদিন সাধারণ পানির মত পান করতে পারেন। এটি শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি ক্ষুধা কমিয়ে দিবে।
ত্বকের জন্য: শসাতে থাকা সিলিকা ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে পরিষ্কার ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। শসা মিশ্রিত ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন, এটি ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা দূর করে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শসাতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। ভিটামিন সি বিভিন্ন রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে।
কোলেস্টোরেল দূর করতে: শসার স্টেরল উপাদান শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে দিয়ে থাকে। এটি হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে থাকে। এটি রক্তনালী ব্লক করা প্রতিরোধ করে রক্ত চলাচল সচল রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে: অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ শসা অনেকগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলো শরীরের ফ্রি র্যা ডিক্যাল দূর করে ক্যান্সারের কোষ ধবংশ করে দেয়।
যেভাবে তৈরি করবেন: একটি বড় পানির জারে শসা কুচি দিয়ে এক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন। আপনি চাইলে এতে লেবুর রস, পুদিনা পাতা অথবা পছন্দের কোন ফল মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি সারাদিন পান করুন।
বিবার্তা/জিয়া