স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান।সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আব্দুল মান্নান বলেন, আব্দুল মালেকের দুর্নীতি অনুসন্ধান করা হবে, তিনি কোনোভাবেই পার পাবেন না। শুধু আবদুল মালেক নয়, যারাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তাদের কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। মালেককে আজকের মধ্যেই বরখাস্ত করার তাগিদ দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করছে। যারা দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে কাজ অব্যাহত রয়েছে। এক জায়গায় শিরোনাম দেখলাম, ‘সীমাহীন দুর্নীতি’ এগুলো আমার মনে হয় আমাদের যে নিয়ম আছে, তাতে সে ছাড় পাবে না। এছাড়া এরকম যারা আছে তাদের বিরুদ্ধেও একটি প্রক্রিয়া চলমান আছে।

এদিকে আবদুল মালেককে গ্রেফতারের পর তার অগাধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী। রাজধানীতে তার রয়েছে একাধিক বাড়ি, প্লট ও ফ্ল্যাট।একজন গাড়ি চালকের দুর্নীতির মাধ্যমে গড়া বিশাল সম্পদের ফিরিস্তি দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা রীতিমতো হতবাক হয়েছেন।

র‌্যাব জানিয়েছে, রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়ার সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল মালেক। তার দাপটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। অনুসন্ধানে তার আয়-ব্যয়ের সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান ও সম্পদের বিস্তর অসামঞ্জস্য উঠে এসেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মালেকের ঢাকায় অন্তত চারটি ফ্ল্যাট, ১০টি প্লট, কামারপাড়ায় এক বিঘা জমি, বামনের টেক এলাকায় ১০ কাঠা জায়গার ওপর ৭ তলা বাড়ি (বাড়ি নং ৪২ হাজী কমপ্লেক্স), স্ত্রীর নামে একটি ৭ তলা বাড়ি, হাতিরপুল এলাকায় নির্মাণাধীন ১০ তলা বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে।

এছাড়া গবাদিপশুর বৃহৎ খামার, মাছের ঘের ও পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করেন তিনি। হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজা মার্কেটের পেছনে নির্মাণাধীন মালেকের ১০ তলা বাণিজ্যিক কাম আবাসিক ভবন।

এটি দেখাশোনা করেন তার ছোট ভাই আবদুল খালেক। খালেক অধিদফতরের পার শাখার পিয়ন হিসেবে কর্মরত। মালেকের বহু সম্পদ খালেকের স্ত্রীর নামে রয়েছে।

এখন পর্যন্ত চারটি বেসরকারি ব্যাংকে মালেকের নামে-বেনামে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব টাকা তার স্ত্রী, ভাই খালেক ও এক ভাতিজাসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয়র নামে রাখা হয়েছে।

বিবার্তা/আবদাল