করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য সংগ্রীহিত নমুনা ফেলে দিয়ে হাজারো মনগড়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফের বিরুদ্ধে। শনিবার (১১ জুলাই) তিনি দাবি করেছেন, প্রতারণার বিষয়টি আগেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জানিয়েছিলেন।
সাবরিনার এমন দাবির প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সেবা সম্প্রসারণ করতে জেকেজি হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার বুথ বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি প্রতারণা করতে পারে এমন ধারণাও ছিল না অধিদফতরের।
এদিকে, নমুনা ফেলে দিয়ে হাজারো মনগড়া কোভিড-১৯ রিপোর্ট দেয়ার পর জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এখন বলছেন, প্রতারণার বিষয়ে আগেই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।
তিনি চেয়ারম্যান নন দাবি করলেও পুলিশ বলছে, তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন গ্রেফতার হওয়া তার স্বামী আরিফুল। শিগগিরই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তারা।
সাবরিনা আরিফ বলেন, জেকেজির চেয়ারম্যান হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং এটা ওভাল কোম্পানির একটি অঙ্গসংগঠন। ওভাল গ্রুপ ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। যেখানকার মালিক হচ্ছেন আরিফুর রহমান।
প্রায় ৩ মাস ধরে নমুনা সংগ্রহের নামে যে প্রতারণা করেছে জেকেজি, সে কার্যক্রমে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন সাবরিনাও। সে সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিজেকে চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। তবে এখন কেন পদ-পদবীর কথা অস্বীকার করছেন?
এ বিষয়ে সাবরিনা বলেন, আমি ওনাকে কাজ পাইয়ে দিয়েছি, দিতাম এটা পুরোপুরি মিথ্যে কথা। এখন অভিযোগ প্রমাণ হোক।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]