শুভ জন্মদিন,
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ।

২০০১ সালের নির্বাচনের পর ক্ষমতাতে বিএনপি-জামায়াত জোট। দেশজুড়ে চলছিল নজিরবিহীন এক নৈরাজ্য। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘুদের নির্যাতন অতীতের সকল মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

সেই সময় সংবাদপত্র খুললেই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের খবর আতঙ্কিত করতো প্রতিটি বিবেকবান মানুষকে।

নারী নির্যাতন যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে স্মরণ করে দিত। প্রতিনিয়তই এক ভয় ও উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতে এই জনপদের মানুষ। আওয়ামী লীগ ও সংখ্যালঘু পরিবারের নারীদের উপর নেমে আসে তখন ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য বর্বর পাশবিক নির্যাতন। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীদেরকে জননেত্রী শেখ হাসিনা নতুন সংগঠন করে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিলেন।

রাজপথে বিএনপি-জামায়াতের অপশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গড়ে উঠে নতুন রক্তের স্রোতধারা বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ। অনেক চাড়াই-উৎড়াই পার প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ তার ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে।

আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি এই সংগঠনের একজন কর্মী হিসেবে।

তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ একটি বাংলাদেশ এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে বাস্তবায়ন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ। অতীতের মতো যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে এখনো সমানতালে সোচ্চার রয়েছে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ। নারীর ক্ষমতায়নে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে প্রাণের এই সংগঠনটি।

সামনের দিনে নারী প্রগতি এবং নারীর মর্যদা রক্ষায় বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে এই আশা করি।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু

কোহেলি কুদ্দুসের ফেসবুক পেজ থেকে...

বিবার্তা/জাকিয়া