চাকরি-বাকরির আলাদা একটা গরম আছে। সবাই সেই গরম সহ্য করতে পারে না , সেটা প্রথম শ্রেণির চাকরি হোক কিংবা চতুর্থ শ্রেণির।
ফলে চাকরি থাকাকালীন সময়ে কেউ কেউ নিজেকে মনে করে- মুই কী হনু রে।
ধরেই নেয়, অধস্তন কেউ দূরে থাকলেও দৌড়ে এসে সালাম দেওয়া তার দায়িত্ব, তোষামোদ করা একান্ত কর্তব্য। একসময় মনে করে, রাস্তার লোকজন আমাকে গুরুত্ব দেয় না কেন? এভাবে একটা কল্পিত রাজ্য নিজের মধ্যে তৈরি করে নেয় এবং নিজেকে ভেবে নেয় সেই রাজ্যের বেতাজ বাদশাহ। 'গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল' টাইপ অবস্থা আর কী।
আর অবসরের পর যখন কেউ আর দাম দেয় না, কথা বলে না, তখন এরাই আবার শুধু নীতিবাক্য বলে বেড়ায়- গেল, গেল, সব শেষ হয়ে গেল।
চাকরি নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই। আল্লাহ দয়া করে দিয়েছেন, তাই পেয়েছেন। আপনিই তো একমাত্র যোগ্য প্রার্থী ছিলেন না। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। কৃতজ্ঞ মানুষ অহংকারী হয়না।
আপনার চাকরি ৩০/৩২ বছরের জন্য একটা রুটিন কাজের ব্যবস্থা মাত্র। তারপর? মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তো চাকরি করতে পারবেন না। আবার চাকরির মেয়াদ শেষ করতে পারবেন কিনা ( মৃত্যু যে কোন সময় হাজির হতে পারে), তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
সম্মানের কাজ করেন, সম্মান এমনিই পাবেন। জোর করে কিছু পাওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
লেখক : রিয়াজুল হক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।
(ফেসবুক ওয়াল থেকে)
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]