শিরোনাম
পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষকদের শাসনও জরুরি
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২১, ১১:২৭
পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষকদের শাসনও জরুরি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আমার মাথায় শুধু ছোটবেলার কিছু স্মৃতি ঘোরপাক খাচ্ছে। বাবা-মায়ের পরে শিক্ষকরাই জীবন গড়ে দিয়েছেন নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে প্রত্যেকটি মানুষ নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু সত্যিকারের মানুষ হওয়ার পেছনে পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি কিছু মানুষের শাসনের কথা অস্বীকার করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই।


ব্যক্তিগত উপলব্ধি থেকে বলছি, আমার বর্তমানের যতটুকু অবস্থান তার পেছনে বাবা-মায়ের কড়া শাসনের পর সবচেয়ে বেশি অবদান যাদের তারা হলেন- পিতৃতুল্য শিক্ষকরা। মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি তাদের শাসন ছাড়া কখনোই আজকের আমি হতে পারতাম না। সেক্ষেত্রে বঞ্চিত হতাম চেনা জানা অগণিত মানুষের ভালোবাসা থেকে।


এই যেমন- স্কুলে কান ধরে উঠবস করা, নখ বড হলে কেটে দেয়া, বেঞ্চের উপর এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা, ডাষ্টার ছুড়ে মারা, চুল বড় থাকলে কেটে দেয়া এগুলো ছিলো আমাদেরকে মানুষ বানানোর জন্য শাসন ।খুবই আশ্চর্যের বিষয় সন্তান সত্যিকারের মানুষ হবে এই বিশ্বাস রেখে বাবা-মা রাও শিক্ষকদের এমন শাসন সাদরে গ্রহন করতেন। উল্টো অপরাধ করার পরও উপযুক্ত শাস্তি না দিলে কখনো কখনো শিক্ষকদের অভিভাবকদের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হতো।


মনে পড়ে- আমার বাসার শিক্ষক এস এস সি পরীক্ষার আগে নিয়মিত পরীক্ষা নিতো। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় যদি ১ নম্বর কম পেতাম তাহলে আমার বোন আর কাজের ছেলেকে ডেকে তাদের সামনে ১০ বার কান ধরে উঠবস করাতো।


বুঝতে পারেন কতটা অস্মানিত বোধ করতাম? অনেক বিজ্ঞজনরাও তাদের স্মৃতিচারণে এই মধুর স্মৃতিগুলো তুলে ধরেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো- আজকে তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে তথা ৪জি- ৫জির যুগে কেনো যেনো মনে হয় উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে মনে হয় আমরা কিছুটা পিছিয়ে।


আচ্ছা আমরা কেনো উন্নত দেশগুলোর ভালো দিকগুলো গ্রহন করি না? যেমন- সুন্দরভাবে কথা বলা, মানুষকে সন্মান করা, আস্তে কথাবলা, রাস্তায় থুতু না ফেলা, যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলা, ট্রাফিক আইন মেনে চলাফেরা না করা, ঘুষ না খাওয়া ইত্যাদি ।


পরীক্ষা নিতে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে মাঝেমধ্যেই যাওয়ার সুযোগ হয়। যখন দেখি ভাইভার টেবিলে উস্কখুস্ক চুল পায়ে সেন্ডেল টিশার্ট পরে হবু ডাক্তাররা ভাইভা দিতে আসে তখন মনে হয় এইটাকে কি স্মার্ট বলে নাকি অন্যকিছু? এমনটা আমাদের সময় করতে কি আমরা সাহস পেতাম নাকি মন সায় দিতো?


মনের মাঝে শঙ্কা আছে- বেশিদিন বুঝি সময় নেই উন্নত বিশ্বের মতো নিজের বাচ্চাকে শাসন করলেও তার অনুমতি লাগবে জেলে যেতে হবে ..।


(আশ্রাফ সিয়ামের ফেসবুক থেকে)


বিবার্তা/এমবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com