গভীর রাতে ফেরিঘাটের ভয়াবহ স্থিরচিত্র দেখে চোখ ছানাবড়া। দেশের দক্ষিণের ২০-২২টি জেলার মানুষ হয়তো জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি যাচ্ছে।
আর কি কেউ যাচ্ছে না? কেউই তো সরকারি নির্দেশ মেনে চলছে না!
রাতের গভীরে চলছে ঢাকা-চট্টগ্রাম দূরপাল্লার বাস। তিন-চারগুণ বেশি ভাড়ায় চলছে বাস-মাইক্রোবাস, এসি চালু করলে দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
তিন-চারগুণ বেশি ভাড়া দিলে একটু পেরেশানি সত্ত্বেও কয়েকবার যানবাহন পাল্টে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে উত্তরবঙ্গে।
যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে তাঁরাও পৌঁছে যাচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
হ্যাঁ আপনাদের হয়তো ঝুঁকি কম কিন্তু সকলেই তো সমান অপরাধী।
বাড়ি যেহেতু যাচ্ছেই, হাজার হাজার লোক ফেরিতে গাদাগাদি করে, মাস্ক ছাড়া একে-অপরের গায়ের উপর আছড়ে পড়ছে......আমি আর কল্পনা করতে পারছি না।
চাওয়া থাকবে সবাই যেন নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে, ঈদ যেন আনন্দেরই হয়।
আমারও খুব ইচ্ছে ছিল এই ঈদে বাড়ি যাব, মাকে কতদিন দেখি না, নিজের কানে বোনদের মুখে ভাইয়া ডাক শুনিনা কতদিন, আব্বুর সাথে বিস্তর আলাপচারিতা। বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা হয় না অনেক বছর।
আচ্ছা, যারা এই রাজধানীতে আছি অথবা আছেন, তাঁরাও কি খুব সাবধানে থাকছেন?
তবু কেন বাজারে এত ভীড়?
শপিং মলগুলোর চিত্রতো ফেরিঘাটের মতই।
এনায়েত শাওনের ফেসবুক থেকে...
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]