শিরোনাম
কালো টাকার বিহিত-ব্যবস্থায় অনিচ্ছা অর্থমন্ত্রীর
প্রকাশ : ২৮ মে ২০১৮, ২০:০৩
কালো টাকার বিহিত-ব্যবস্থায় অনিচ্ছা অর্থমন্ত্রীর
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, কালো টাকার জন্য কোনো রকমের ব্যবস্থা করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। কালো টাকা সাদা করা অলঅয়েজ আ ব্যারিয়ার, অ্যান্ড ইট হ্যাজ নেভার সাকসিডেড।


সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট’ আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় এক প্রশ্নে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ নিয়ে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।


অনুষ্ঠানে তিনি জানান, তার বাজেট বক্তৃতা লেখা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।


মুহিত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কালো টাকার প্রভাব নিয়ে আলোচনা বহু পুরনো। অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করতে বিভিন্ন সময়ে সুযোগ দিলেও তাতে সফল হয়নি সরকার।


এই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অপ্রদর্শিত ১৩ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা বৈধ করা হয় বলে সংসদে গত বছর জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।


তবে অপ্রদর্শিত অর্থের পরিমাণ তার চেয়ে বহুগুণ বেশি বলে অর্থনীতিবিদরা বলছেন। তারা বলছেন, এই অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।


এই প্রসঙ্গে মুহিত আলোচনা অনুষ্ঠানে অসহায়ত্বের সুরে বলেন, “কালো টাকা দেশের বাইরে গেলে আমি কী করব?”


সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মুহিত এই বছর কালো টাকার ছড়াছড়ি হবে বলেও সতর্ক করেছিলেন।


গত জানুয়ারিতে রূপালী ব্যাংকের ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, আপনারা সবাই জানেন এ বছর নির্বাচনের বছর। এ বছর টাকা পয়সার ছড়াছড়ি বেশি হবে, কালো টাকা হয়ত যথেষ্ট আসবে বাজারে, এ বছর সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।


এ সময় আলোচিত ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন অর্থমন্ত্রী।


তিনি বলেন, ব্যাংক কেলেঙ্কারি ইজ অ্যা ভেরি সিরিয়াস ম্যাটার এবং ব্যাংকিং সেক্টরে অনেক ধরনের গোলামাল আছে।


ঋণ কেলেঙ্কারিতে ধুঁকতে থাকা ব্যাংকগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি একীভূত হবে বলে আশা করছিলেন মুহিত। কিন্তু তা না হওয়ায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।


২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার বিষয়ে এগিয়ে যেতে চান অর্থমন্ত্রী।


তার ভাষায়, আমরা কিন্তু প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, ২০৪০ সালে এ দেশে কোনো তামাক থাকবে না, এটি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার। তামাকের সাথে সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েছি। তার কিছু ইঙ্গিত এ বাজেটে দিতে পারব, যাতে দেশ থেকে তামাক বিতাড়িত করতে পারি। তবে তামাক চাষিদের জন্য বিকল্প চাষের ব্যবস্থা করতে হবে।


বিভিন্ন শিল্পের ব্যবস্থাপনা খাতের জন্য দেশেই দক্ষ জনবল তৈরিতে মনোযোগ দিতে চান মুহিত, যাতে দেশের অর্থ বিদেশিরা না নিয়ে যায়।


অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে মুহিতের ভাই বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এ কে এ মোমেন। পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাঈদি সাত্তার, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।


বিবার্তা/তৌহিদ/সোহান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com