ক্রেডিট কার্ড বিল, ঋণ ও ডিপিএসের কিস্তি পরিশোধের বিষয়ে নির্দেশনা
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৪, ১৯:২৬
ক্রেডিট কার্ড বিল, ঋণ ও ডিপিএসের কিস্তি পরিশোধের বিষয়ে নির্দেশনা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

চলমান পরিস্থিতিতে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অনেক গ্রাহক তাদের ক্রেডিট কার্ডের বিল, ঋণ ও সঞ্চয় স্কিমের কিস্তি দিতে পারেননি। বাড়তি সুদ ছাড়াই তাঁদের এ বিল বা কিস্তির অর্থ পরিশোধ করার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশ মোতাবেক আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এসব টাকা পরিশোধ করতে পারবে গ্রাহকরা। যেসব ব্যাংক ইতোমধ্যে বাড়তি ফি নিয়েছে তা দ্রুত সমন্বয় করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


২৪ জুলাই, বুধবার পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে। ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


সার্কুলারে বলা হয়, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অনেক ঋণগ্রহীতা ও ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক বকেয়া অর্থ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে পারেননি। অনেক আমানতকারি ডিপোজিট পেনশন স্কিমসহ (ডিপিএস) বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে পারেননি। এ রকম অবস্থায় ১৮ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের পরিশোধযোগ্য অর্থ আগামী ৩১ জুলাইর মধ্যে পরিশোধ করলে বকেয়া অর্থের ওপর কোনো সুদ, দণ্ড সুদ, অতিরিক্ত সুদ, বিলম্ব ফি বা জরিমানা (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আদায় করা যাবে না। ইতোমধ্যে কোনো ব্যাংক বিলম্ব ফি আদায় বা আরোপ করলে গ্রাহককে তা ফেরত বা সমন্বয় করতে হবে।


নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ডিপিএসসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করলে এ ক্ষেত্রেও কোনো বিলম্ব ফি বা জরিমানা আদায় করা যাবে না। এ সময়ে কোনো সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি পরিশোধে গ্রাহকের অসমর্থতার কারণে তা বন্ধ বা বাতিল করা যাবে না। আবার পূর্বঘোষিত হারের তুলনায় কম সুদও দেওয়া যাবে না।


এতে বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে যেসব ঋণের কিস্তি দেওয়ার তারিখ থাকলেও যারা দিতে পারেননি আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করলে আর বাড়তি ফি, সুদ, দণ্ড সুদ যে নামেই অভিহিত করা হোক নেওয়া যাবে না। সঞ্চয় স্কিমেও এ সময়ের কিস্তি দিতে না পারলে বিলম্ব ফি নেওয়া যাবে না কিংবা সুদ কম দেওয়া যাবে না।


বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই সময়ে অনেকে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে চাইলেও পরিস্থিতির কারণে পারেননি। ফলে এই সময়ের দায় কোনোভাবে গ্রাহকের ওপর পড়তে পারে না। এ জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com