রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩, ১৭:২৪
রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ডলারের দামের ওঠানামার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশসহ বেশির ভাগ দেশের অর্থনীতি। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার রেকর্ড অবমূল্যায়ন হয়েছে। টাকার লাগামহীন অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি পণ্যের দামও বেড়ে গেছে। ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাজারে ব্যক্তিগত রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তার সাথে কমেছে গাড়ির আমদানিও। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন দাম বাড়ায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বিক্রি ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।


গাড়ি আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকট কাটাতে গত বছরের অক্টোবরে সরকারের পক্ষ থেকে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসপণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন ‘বিলাসপণ্য’ হিসেবে গাড়িকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার কারণে শতভাগ এলসি মার্জিনে গাড়ি আমদানি করতে হয়। এতে গাড়ির আমদানি কমে গেছে ৭০ শতাংশের বেশি। এক বছর আগে ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ৭৫-৭৬ টাকা, সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ১০৭-১০৮ টাকা। ডলারের সঙ্গে টাকার এই অবমূল্যায়নসহ নানা কারণে গাড়ির দাম ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। আর তাই উল্লেখযোগ্য হারে বিক্রি কমেছে বলেও জানান আমদানিকারকরা। বর্তমানে দেশে নতুন ও রিকন্ডিশন্ড ব্যক্তিগত গাড়ির বাজার ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। তার মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশই রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দখলে। আর বাকিটুকু নতুন গাড়ির দখলে রয়েছে।


রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারক ও পরিবেশক সমিতির (বারভিডা) সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ‘এখনো আমরা গাড়ি আমদানির জন্য এলসি করতে পারছি না। তবে এখন ব্যাংকগুলোতে ডলারের জোগান বাড়ায় স্বল্প পরিমাণে এলসি খোলা যাচ্ছে। যেসব আমদানিকারক আগে মাসে ১০০ গাড়ি আনতেন, তাঁরা এখন ২০টি গাড়ির এলসি খুলতে পারছেন। ডলার সংকটের কারণে যদি আমরা এলসি খুলতে না পারি, তাহলে তো ক্ষতিগ্রস্ত শুধু আমরা হচ্ছি না, এতে এনবিআরের রাজস্বও কমছে। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি থেকেই বছরে চার-পাঁচ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব দেওয়া হতো। গাড়িসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানি কমে যাওয়ায় এবার এনবিআরকে রাজস্ব আদায়ে বিশাল একটি ঘাটতির মধ্যে পড়তে হবে।’


এক বছর আগের তুলনায় বর্তমানে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম বৃদ্ধির চিত্র:
এক্সিও ১৬ মডেলের গাড়ির দাম ছিল ১৭-১৮ লাখ টাকা, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬-২৭ লাখ টাকায়।


হোন্ডা গ্রেস ১৬ মডেলের দাম ছিল ২০-২১ লাখ, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২৭-২৮ লাখ টাকায়।


এলিয়ন প্রিমিও ১৬ মডেলের গাড়ির দাম ছিল ৩২-৩৩ লাখ টাকা, সেটি দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৩৯ লাখ টাকায়।


নোহা স্কয়ার ১৬ মডেলের দাম ছিল ২৮-২৯ লাখ টাকা, দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৭-৩৮ লাখ টাকায়।


নিশান এক্সট্রাইল ১৬ মডেলের দাম ছিল ৩৮-৩৯ লাখ টাকা, দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ লাখ টাকা।


টয়োটা প্রিয়াসের দাম ছিল ২৩-২৪ লাখ টাকা, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮-২৯ লাখ টাকায়।


করলা ক্রস ২১ মডেলের গাড়ির দাম ছিল ৫০-৫১ লাখ টাকা, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৫৯ লাখ টাকায়।


বিবার্তা/রিয়াদ/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com