বাংলাদেশের আকাশে উড়তে চায় এয়ার এশিয়া
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:২২
বাংলাদেশের আকাশে উড়তে চায় এয়ার এশিয়া
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশের অন্যতম জনশক্তি রফতানির দেশ মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। প্রবাসীদের যাতায়াত এবং পণ্য আমদানি-রফতানি সুবিধা বাড়াতে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদশের ফ্লাইট কার্যক্রম সম্প্রসার করতে চায় মালেশিয়াভিত্তিক বাজেট এয়ারলাইন্স এয়ার এশিয়া।


বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেসে’ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এয়ার এশিয়া গ্রুপের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ক্যারেন চ্যান।


সংবাদ সম্মেলনে এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের আকাশ যোগাযোগ সম্প্রসারণে এয়ার এশিয়া এবং বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক আলোচনাপূর্বক সাক্ষাত করতে প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় আসে।


সংবাদ সম্মেলনে ক্যারেন চ্যান বলেন, বাজেট ফেয়ার, কাস্টমার সন্তুষ্টি এবং যথাসময়ে ফ্লাইট পরিচালনার কারনে ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ায় এয়ার এশিয়া জনপ্রিয় রুট হিসেবে পরিচিত। গত বছরের তুলণায় ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি এবং ঢাকা-ব্যাংকক রুটে প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইট অপারেশন করছে এয়ার এশিয়া। মেডিক্যাল ট্যুরিজম নির্ভর বিশেষ করে চোখের চিকিত্সার জন্য বাংলাদেশিদের জন্য বেশ জনপ্রিয় দেশ ইন্দোনেশিয়া। ফিলিফাইন ও ইন্দোনেশিয়া রুটে নতুন করে সরাসরি ফ্লাইট অপারেশনের সুযোগ আছে কীনা সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। তবে এ মূহুর্তে ইন্দোনেশিয়া-কুয়ালালামপুর রুটে প্রতিদিন সরাসরি ছয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করায় কানেক্টিং ফ্লাইটে ঢাকার যাত্রীদের সময় নষ্ট হয়না বলে জানান তিনি।


তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যে, জাপানে অনেক বাংলাদেশি বসবাস করছেন। জাপানে এয়ার এশিয়া প্রতিদিন ১৪ টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অভিবাসন আয়ের এসব দেশেও বাংলাদেশিদের যাতায়াত সেবা দিতে চায় এয়ার এশিয়া। অন্যদিকে বাংলাদেশে ইসলাম, ঐহিত্য নির্ভর বহু স্থাপনা, বৃহৎ সমুদ্র সৈকত রয়েছে। এখানে বিশ্বের সেরা তৈরি পোশাক শিল্পগুলো থাকায় বিদেশি বায়াররা আসছে। ফ্লাইট পরিচালনায় যুক্ত থাকা অন্যান্য দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের এসব পর্যটন আকর্ষণের বিষয়গুলো এগুলো প্রমোট করতে চাই, যাতে তারা ভ্রমণে আগ্রহী হয়। ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু হলে সে সুযোগ আরও বাড়বে।


বাংলাদেশে ডলার সঙ্কট এবং জেট ফুয়েলের দাম কয়েকদফা বৃদ্ধিতে এয়ারলাইন্স পরিচালনায় সমস্যা তৈরি হয়েছে জানিয়ে এশিয়া গ্রুপের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরবর্তী আমরা ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়েছি। বহরে নতুন নতুন মডেলের এয়ারক্রাফট যোগ করছি। বর্তমানে বিশ্বের ২২টি দেশের ১৬৫ টি গন্তব্যে ফ্লাইট অপারেশন করছে এয়ার এশিয়া। ২৪ ঘণ্টা কাস্টমার সার্ভিস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের কারণে কোন কাস্টমারকে সার্ভিস পেতে ২০ মিনিটের বেশি সময় নিতে হয়না। এতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ফ্লাইটের চাহিদা বাড়ছে। সেবার মান বাড়িয়ে আমরা আরও অনেকদূর যেতে চাই। এসব বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।


সংবাদ সম্মেলনে এয়ার এশিয়া বাংলাদেশের জিএসএ টোটাল এয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালক (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) কাজী শাহ মুজাকখের আহমেদুল হক সহ এয়ার এশিয়া গ্রুপ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য এবং স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/সানজিদা/বিএম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com