
রাতের খাবার শেষ করে নিজের রুমে প্রবেশ করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি শুরু করে। কিন্তু দরজা খোলে না। কীভাবে খুলবে, ভেতরের মানুষটা যে ইতোপূর্বে ঝুলে পড়েছেন দড়িতে। ৪৭ বছরের জীবনের ইতি টেনেছেন নিজের হাতে।
আচমকা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা সেই মানুষটির নাম রাসেল ও’নীল। দেশের জনপ্রিয় একজন গীতিকবি তিনি। যার মস্তিষ্কপ্রসূত শব্দমালায় মুগ্ধতা খুঁজে পেয়েছিলো অগণিত শ্রোতা। সেই গুণী মানুষ চলে গেছেন পরপারে।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, রাসেল ও’নীল আত্মহত্যা করেছেন। সেটার একটি প্রমাণও মিলেছে। সুইসাইড নোট লিখে গেছেন এ গীতিকার। তাতে স্পষ্ট বাক্যে জানিয়েছেন, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
ডায়েরির পাতায় লাল কালিতে রাসেল লিখেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ী নয়। আমি স্বেচ্ছায় আত্মহনন করলাম। এর সাথে কাউকেই জড়িত করা যাবে না। এবং আমার দেহের কোনো পোস্টমর্টেম হবে না। রাসেল ও’নীল।”
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন লিচু বাগান এলাকার একটি বাসা থেকে রাসেল ও’নীলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন থানার এসআই মো. সাইদুর রহমান। তিনি জানান, রাসেলের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক সময় ‘রাসেল ও নীল’ নামে গান লিখতেন মেহবুবুল হাসান রাসেল ও তার বন্ধু ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়। পরে রাসেল ও’নীল নামেই পরিচিতি পেতে থাকেন রাসেল। দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দলছুট’-এর অনেক গানের কথাই লিখেছেন তিনি। বাপ্পা মজুমদারসহ আরও গুণী শিল্পীরাও গান করেছেন তার কথায়। এছাড়া একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কপিরাইটার হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
রাসেল ও’নীলের লেখা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘দিন বাড়ি যায়’, ‘সূর্য স্নানে চল’, ‘মনটা তোমার কেনা’ প্রভৃতি।
বিবার্তা/ইমরান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]