১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের অনেকে দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন আবার অনেকে বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরেছেন। তাদের অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা।
তবে কিছু কিছু বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা এখন শোবিজ অঙ্গনের তারকা। ছোট পর্দার এমন কজন বীর বাবার তারকা সন্তান আছেন। চলুন জেনে নেই তাদের সম্পর্কে-
শবনম ফারিয়া- অভিনেত্রী শবনব ফারিয়ার বাবা মীর আবদুল্লাহ একজন চিকিৎসক ও মুক্তিযোদ্ধা। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় না ফেরার দেশে চলে যান ফারিয়ার বাবা।
একাত্তর সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ফারিয়ার বাবা। এই জনসভায় তিনিও উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রেরণা পান মীর আবদুল্লাহ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কিছুদিন পর এক রাতে বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে ভারতে চলে যান। ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। বাবাকে নিয়ে ভীষণ গর্ববোধ করেন এই অভিনেত্রী।
মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া- মডেল-অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়ার বাবা এ বি এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরী সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তার বাবা ক্লাস নাইনে পড়াকালীন দেশে যুদ্ধ শুরু হয়। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে তিনি এপ্রিলের শেষ দিকে বাড়ি ছাড়েন। চলে যান ভারতের সোনাইমুড়ায়। সেখান থেকে মেলাঘরে। সেখানে টয়ার বাবাকে ট্রেনিং দেন মেজর মতিন ও সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ।
ট্রেনিং শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে বেশির ভাগ অপারেশনে অংশ নেন। সুযোগ পেলেই বাবার কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেন টয়া। বাবাকে নিয়ে গর্বিত এই অভিনেত্রী।
আফরান নিশো-অভিনয়শিল্পী আফরান নিশোর বাবা আব্দুল হামিদ। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। বাবার মুখ থেকে যুদ্ধের অনেক গল্প শুনেছেন নিশো।
তিনি, ‘মুক্তিযুদ্ধের অনেক অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন বাবা। সেসব গল্প তার মুখ থেকে শুনেছি। একবার নদীতে পাক হানাদার বাহিনীর নৌবহরে হামলা চালান বাবা ও তাঁর সঙ্গীরা। এ অপারেশনে সফল হয়েছিলেন তারা।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]