হাতে টাকা নেই। ঘরে খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য মানুষের কাছে ধার-দেনাও করেছেন। এমনই অবস্থা হয়েছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূপুর অলঙ্কারের। এ অবস্থায় শেষ সম্বল ছিল কিছু গয়না। সেই গয়না বিক্রি করেই এখন সংসার চালাচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নূপুর জানান, তার অর্থনৈতিক অবস্থা ভীষণ খারাপ যাচ্ছে। ‘আগলে জনম মোহে বিটিয়া হি কিজো’ , ‘ঘর কি লক্ষ্মী বিটিয়া’ র মতোশো এর এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর এই হাল হলো কী করে? এক ব্যাংকে টাকা জমা রেখে ফেঁসে গেছেন তিনি।

নূপুর বলেন, ‘পাঞ্জাব মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাংকের বিপর্যয়ের কারণে এ অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবন কাটছে আমার। সব টাকা এ ব্যাংকে জমা রেখেছি। ঘরে কোনও টাকা সঞ্চিত নেই। আমার গয়না বিক্রি ছাড়া আর কোনও রাস্তাই খোলা ছিল না।

এক অভিনেতার কাছ থেকে ৩০০০ টাকা ধারও নিয়ে ছিলাম। কবে যে ব্যাংকের সমস্যার সমাধান হবে। টাকাগুলো আবার না হারিয়ে যায়!’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাঞ্জাব মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাংকে ২৫ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে ওই সব ব্যাংকে যাদের টাকা আছে, তারা পড়েছেন বিপাকে। এমনই গ্রাহকদের মধ্যে একজন অভিনেত্রী নুপূর অলঙ্কার। তিনিও ওই ব্যাংকে টাকা রেখে পড়েছেন মহাবিপদে।

তবে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ব্যাংক থেকে আপাতত ৬ মাস অন্তর ১০ হাজার টাকা করে তোলা যাবে। পরবর্তী সময়ে এই মাত্রা বাড়িয়ে ২৫ হাজার করা হবে।

বিবার্তা/রবি