শিরোনাম
আমরণ অনশনে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধরা
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০১৯, ১৯:৩১
আমরণ অনশনে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধরা
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের পদায়নসহ চার দফা দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা। আর এসময় পার হয়ে যাওয়ার পরও তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার আমরণ অনশনে বসেছেন তারা।


শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমরণ অনশনে বসেন তারা। যেখানে তারা চার দফা দাবিতে টানা ৩৩ দিন অবস্থান করছেন।


এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা। এসময়ের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে শুক্রবার দুপুর থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।


তাদের চার দফা দাবি হলো:


১. ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ দাবি।
২. ছাত্রলীগ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে ১৯ জনের পদ শূন্য ঘোষণা করেছে, অবিলম্বে তাদের নাম পদসহ প্রকাশ করতে হবে।
৩. যারা পদবঞ্চিত হয়েছেন তাদের ভেতর থেকে যোগ্যতার বিচারে বিতর্কিতদের স্থানে পদায়ন করতে হবে।
৪. মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।



আমরণ অনশনের বিষয়ে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের মুখপাত্র ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, আমাদের দাবিগুলো পূরণের কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় আমরা আমরণ অনশন শুরু করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।


অনশনে অংশ নেয়া ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির উপদফতর সম্পাদক নকিবুল ইসলাম সুমন বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আপা (শেখ হাসিনা) বিতর্কিতদের বাদ দিতে নির্দেশনা দেয়ার পরেও তারা (ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) গড়িমসি করছেন, কালক্ষেপণ করছেন, যেটা ছাত্রলীগের আদর্শিক কর্মী হিসাবে আমাদের ব্যথিত করে।


তিনি বলেন, আমরা অনেকটা বাধ্য হয়েই জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া সংগঠনকে বিতর্কমুক্ত করতে আমরণ অনশনের মত কঠোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, নিজেদের জীবন দিয়ে হলেও বঙ্গবন্ধু মুজিবের আদর্শিক সংগঠনকে বিতর্কমুক্ত করবো।


সম্মেলনের এক বছর পর গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগ এনে তা পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এতে স্থান না পাওয়া কিংবা প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।


এ নিয়ে পদবঞ্চিতরা দুইবার হামলার শিকার হন। এরপর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে আওয়ামী নেতাদের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে বিক্ষুব্ধরা। এরপর ২৯ মে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন। কিন্তু এ পদগুলোতে কারা বাদ গেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।


এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে ২৬ মে ফের অবস্থানে ফেরে বিক্ষুব্ধরা। দাবি আদায়ে তাদের সেই অবস্থান চলমান রয়েছে। যা আজ ৩৪তম দিনে পা দিয়েছে। এদিন তারা আলাদা কর্মসূচি হিসেবে আমরণ অনশনে বসেছে।


বিবার্তা/রাসেল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com