শিরোনাম
ঢাবি সিনেটে ৮১০ কোটি ৪২ লাখ টাকার বাজেট পেশ
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০১৯, ২২:৪৫
ঢাবি সিনেটে ৮১০ কোটি ৪২ লাখ টাকার বাজেট পেশ
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৮১০ কোটি ৪২ লাখ টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে।


বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক অধিবেশনে এ বাজেট উপস্থাপন করা হয়। বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দিন।


এতে গবেষণার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৪০ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। যা মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪শতাংশ। তবে বাজেটের পরিমাণ নিতান্তই কম বলে মন্তব্য করেছেন কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন।


এসময় তিনি বলেন, কমপক্ষে ১৫০০ কোটি টাকার বাজেট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন। আমাদের স্ট্যান্ডার্ড প্রোডাকশনের জন্য এই ৮০০ কোটি টাকার বাজেট আমাদের নিতান্তই কম। আমাদের বর্তমান সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আন্তরিক। আশা করি, আমরা সামনে আরো বড় বাজেট পাব।


উপাচার্যের অভিভাষণে সিনেটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, সিনেটের এখন সদস্য সংখ্যা ১০৫। যা ১৯৯৩ সালের পর পূর্ণাঙ্গ সিনেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ প্রদানের মহতী উদ্যোগের জন্য তিনি ডাকসু নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এছাড়া পাঁচজন নতুন সিনেট সদস্যকে তিনি অভিবাদন জানান।


তিনি বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুগ বাস্তবতার নিরিখে বাস্তবায়নযোগ্য নতুন নতুন একাডেমিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়।


তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উচ্চ শিক্ষকদের বিদেশে প্রশিক্ষণ বৃত্তি শীর্ষক একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুঃখজনকভাবে পরবর্তী সরকার ২০০৫ এ তা বন্ধ করে দেয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ‘ওভারসিস স্কলারশিপ’ শিরোনামে তা পুনরায় আবার চালু করেছে। মোট ৪০ জন শিক্ষক এ কর্মসূচির আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজ শুরু করেছেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং নিয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, প্রকৃত তথ্য না জেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও র‌্যাংকিং নিয়ে ঢালাওভাবে অনেকেই যেসব মন্তব্য করেন, তা খুবই হতাশাজনক। অনেক মানদণ্ডেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় স্বীকৃত জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশকে উৎসাহিত করে থাকে।


তিনি বলেন, ২০২০ মুজিব বর্ষ এবং ২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন এ দুটো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে অর্থবহ করে রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচি ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে থাকবে শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে কিছু উদ্যোগ, গবেষণাগার উন্নয়ন ও ভৌত অবকাঠামো সম্প্রসারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন, পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণ প্রভৃতি। সবশেষে সার্বিক বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করে উপাচার্য বক্তব্য শেষ করেন।


২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৮১০ কোটি ৪২ লাখ টাকার মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ৬৯৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে ৬৬ কোটি টাকা আসবে। বাজেটে সম্ভাব্য ঘাটতি ধরা হয়েছে ৪৫.৭৭কোটি টাকা। এবারের বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বা ৪০ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।


গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৭৬১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে এ বছর বাজেট বেড়েছে ৬৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা।


অনুষ্ঠানে ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, নির্বাচিত রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধিগণ এবং পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।


বাজেট অধিবেশনের কর্মসূচিতে ৬টি বিষয় রাখা হয়েছে। এগুলো হলো উপাচার্যের অভিভাষণ, কোষাধ্যক্ষের বাজেট উপস্থাপন, পূর্ববর্তী অধিবেশনের কার্য-বিবরণী অনুমোদন, ২০১৭-১৮ সালের বার্ষিক বিবরণী বিবেচনা, জগন্নাথ হল ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মনোনয়ন এবং ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য ছয়জনের একটি প্যানেল অনুমোদন।


বিবার্তা/রাসেল/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com