ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা ফের অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছে। এ সময় ‘বিতর্কিত’দের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত তারা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দেন।

রবিবার রাত ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ অবস্থান নেন তারা।

এর আগে রবিবার ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ১১টায় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ৩০১ সদস্যের সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে।

বিজ্ঞপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ফের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশটি।

তারা বলেন, যে কমিটিতে ‘বিতর্কিতরা’ রয়েছেন, সেই কমিটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিলে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা হবে।

তাদের দাবিগুলো হলো- পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের স্থান দেয়া এবং মধুর ক্যান্টিনে ও টিএসটিতে তাদের ওপর হামলাকারীদের বিচার করা।

আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ও ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, আমাদের দাবি মেনে না নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিতদের নিয়ে সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। তাদের ঘোষিত এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিতর্কিত কমিটিকে বৈধ করার পাঁয়তারা চলছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক আমাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সেই দাবিগুলো মেনে নেয়ার আগে কেন বিতর্কিতদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুক প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যাচ্ছে তারা?

১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে অছাত্র, বিবাহিত, চাকরিজীবী, ছাত্রদল রয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলন করে পদবঞ্চিত এবং পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।

পরে ১৯ মে আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।

বিবার্তা/জাকিয়া