ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দিন হামলার পর এবার ফের হামলার শিকার হয়েছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া বিক্ষুব্ধ অংশের সদস্যরা।

শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় কয়েকজন নারী নেত্রীসহ বেশ কয়েকজন পদবঞ্চিত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শেখ আব্দুল্লাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ছিলেন।

এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন কর্মসূচিতে বসেছেন হামলার শিকার ছাত্রলীগের নেতারা।

পদবঞ্চিত ও হামলার শিকার হওয়া অংশের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু বলেন, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে ‘বিতর্কিতদের বাদ দিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর কমিটি ও মধুর ক্যান্টিনের সোমবারের হামলার ঘটনা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা নিরসনে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে টিএসসিতে আলোচনায় বসেছিলেন তারা।

তিনি বলেন, সেখানে সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক লিপি আক্তারকে আপত্তিকর কথা বললে তিনি প্রতিবাদ জানান। এর জেরে সেখানে উপস্থিত রাব্বানীর কর্মীরা লিপিসহ পদবঞ্চিত কয়েকজনকে মারধর করেন।

মারধরের শিকার হয়েছেন নতুন কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক নিপু ইসলাম তন্বী, তিলোত্তমা শিকদার, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, শামসুন নাহার হল শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা, সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপসম্পাদক এমদাদ হোসেন সোহাগ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক আজমীর শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন।

হামলার ঘটনায় আলোচনা সভা থেকে বেরিয়ে এসে টিএসসির রাজু ভাস্কর্য এলাকায় অবস্থান নেন পদবঞ্চিত নেতারা। এরপর সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা অনশন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেন।

পরে রাত ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে পদবঞ্চিতদের বুঝিয়ে অনশন থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী। তবে পদবঞ্চিতরা তাদের গ্রহণ করেননি।

পদবঞ্চিত নেতারা জানান, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চান। প্রধানমন্ত্রীর ডাক না পাওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন বলেন, আমি আজ কিছু বলব না। যা বলার কাল (রবিবার) বলব।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী বলেন, কাউকে মারধর করা হয়নি। কথা বলতে গিয়ে ‘হট টক’ হয়েছিল। বিশেষ সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী পদবঞ্চিতরা এসব করছেন।

বিবার্তা/রাসেল/জাকিয়া