শিরোনাম
জবির ফুটপাথ অবৈধ দখল
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০১৯, ১৫:২১
জবির ফুটপাথ অবৈধ দখল
জবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সংলগ্ন ফুটপাত দখল করে লেগুনাস্ট্যান্ড ও রিকশা মেরামত দোকান বসানো হয়েছে। ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে টিকেট কাউন্টার, লেগুনাস্ট্যান্ড, বাসস্ট্যান্ড এবং রিকশার গ্যারেজ। বসানো হয়েছে ভাতের হোটেল, চায়ের দোকান, সিগারেটের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান এবং ফুটপাতের উপরই রাখা হয়েছে বহু রিকশা।


এভাবে ফুটপাত দখল থাকায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে জবি, কলেজিয়েট স্কুল এবং বাংলাবাজার স্কুলের শিক্ষার্থীরা। যাতায়াতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বাংলাবাজার, পাটুয়াটলি ও সদরঘাটগামী পথচারীরা। বছরের পর বছর এ অবস্থা চললেও প্রশাসন ফুটপাত দখলমুক্ত করার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জবির বন্ধ থাকা দ্বিতীয় ফটকের সামনে গড়ে উঠে অবৈধ লেগুনাস্ট্যান্ড ও মেরামত দোকান। কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান ফটকের সামনের ফুটপাতে রয়েছে ভাতের হোটেল। এছাড়া জবির প্রধান ফটকের ফুটপাতে বসানো হয়েছে চা-দোকান, সিগাটের দোকান, কাগজ-কলমের দোকানসহ শরবতের দোকান। কলা অনুষদের ইমার্জেন্সি গেটের ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে সাভার পরিবহন, সুপ্রভাত, তানজিল পরিবহনসহ মিরপুর, গাজীপুরগামী বিভিন্ন বাসের কাউন্টার। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো ফুটপাতকে আড়াল করে রাখার ফলে অবাধেই গড়ে উঠেছে রিকশার গ্যারেজ ও রিকশা মেরামত দোকান। ফুটপাতের উপরই সারি সারি করে রাখা হয় প্রায় ৪৫-৫০ টি রিকশা। এর ফলে বাকি জায়গা দিয়ে সারি করেই হাঁটতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।


স্থানীয়রা জানান, এসব রিকশার মালিক অর্থনীতি বিভাগের এবং রেজিস্ট্রার অফিসের দুই কর্মচারী।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী এখলাসুর রহমান নাইম বলেন, ফুটপাতের উপর এসব কাউন্টার ও দোকান থাকায় চলাচল করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।


সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার লিমা বলেন, ফুটপাতে রিকশা রাখার ফলে লাইনধরে হাঁটতে হচ্ছে। রিকশা ও লেগুনাস্ট্যান্ড তুলে দিলে আমরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারব।


কলেজিয়েট স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আকিল জানান, উন্মুক্ত ভাতের হোটেল থাকায় ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারিনা, তাই আমাকে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হয়।


এ ফুটপাত দিয়ে নিয়মিত কর্মস্থলে যান বাংলাবাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ফুটপাত দখল থাকায় হাঁটাতো যায় না, চলাচল করতে গিয়ে একজনের সাথে অন্যজনের ধাক্কা লাগায় বিবাদের ভিতর পড়তে হয়।


বাসের গ্যারেজ ও কাউন্টার বিষয়ে জানতে বাহাদুর শাহ পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালামকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।


কোতোয়ালি থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লেগুনাস্ট্যান্ড ও টিকেট কাউন্টারগুলো ওই স্থানে রয়েছে। ফলে এখন সেগুলো তুলে দিতে হলে তাদের আগে অন্য কোথাও জায়গা করে দিতে হবে। জবির দ্বিতীয় ফটকের লেগুনাস্ট্যান্ড সম্পর্কে ওসি বলেন, যখন ফটক খুলে দেয়া হবে তখন স্ট্যান্ড এমনিতেই উঠানোর জন্য বলা হবে।


বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড.আব্দুল বাকী বলেন, আমরা এ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি। সমস্যা সমাধান আমরা একা চাইলেই হবে না, ফুটপাত কে দখলমুক্ত করতে হলে প্রশাসনসহ শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সবাইকে নিরপেক্ষভাবে এগিয়ে আসতে হবে।


এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, আমরা এসব দোকানের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে পথচারীদের চলাচলের জন্য আগেও ব্যবস্থা নিয়েছি। যদি কেউ আবার ফুটপাতের উপর দোকান করে এবং শিক্ষার্থী চলাচলে বিঘ্ন হয় এমন কোনো কিছু রাখলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।


বিবার্তা/আদনান/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com