শিরোনাম
জবির ক্যাম্পাস যেন মিনি বাসস্ট্যান্ড
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৪৫
জবির ক্যাম্পাস যেন মিনি বাসস্ট্যান্ড
জবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

আয়তনের দিক থেকে দেশের অন্যতম ছোট ক্যাম্পাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস। তা সত্ত্বেও এই ছোট ক্যাম্পাসের মধ্যেই যত্রতত্র বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিংয়ে সংকুচিত হয়ে পড়েছে পদচারণার স্থান।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জবির বর্তমান আয়তন মাত্র ১০ একর বলা হলেও বাস্তবে এর আয়তন আরো কম। সল্প এই জায়গার প্রায় সব স্থানেই বাস, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের ফলে ১৯ হাজার শিক্ষার্থী, ৭০০ শিক্ষক ও প্রায় ১ হাজার ৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চলাফেরা হয়ে পড়েছে দূরহ।


মূলত নতুন ভবনের নিচে বেজমেন্টে অব্যবস্থাপনা ও ক্যাম্পাসের নিকটে পার্কিংয়ের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বর, শহীদ মিনারের আশপাশ, ক্যান্টিনের সামনে, বিজ্ঞান অনুষদ ও কলা অনুষদের মাঠে গাড়ি পার্কিং করছেন শিক্ষকরা।


সরজমিনে দেখা যায়, প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকেই অর্ধেক রাস্তা জুড়ে আছে শিক্ষার্থীবহনকারী বাস। ব্যবহারযোগ্য একমাত্র ফটকটি দিয়ে প্রায় সারাদিনই গাড়ি প্রবেশ ও বের হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির পর মানবজট নতুন কিছু নয়।



আরেকটু সামনে যেতেই শান্তচত্বরের ভাস্কর্য ঘিরে পার্কিং করা রয়েছে মোটরসাইকেল। শিক্ষকদের বহনকারী এসি বাসটির পেছনে ঢাকা পড়েছে শহীদ মিনার। কলা অনুষদের পুরোটা জায়গা জুড়ে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত গাড়ি রাখা হয়েছে।


বিজ্ঞান অনুষদের হ্যান্ডবল ও ব্যাডমিন্টন ফিল্ড বন্ধ করে রাখা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একতলা বাসগুলো। এত গাড়ির ভিড়ে মুক্তভাবে চলাফেরার সুযোগ নেই শিক্ষার্থীদের। বাধ্য হয়েই অফটাইমে বাসের ভিতর আড্ডা দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।


পরিসংখ্যান বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তূর্য দেবনাথ বলেন, ক্যাম্পাসে মুক্তভাবে চলাফেরার সুযোগ নেই, সব জায়গায় গাড়ি পার্কিং করা। ক্লাসের ফাঁকে কোথাও বসে আড্ডা দেবো সে সুযোগও নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিবেশ হতাশার।


জবি শাখা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি কিশোর কুমার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই ভার্সিটির বাইরে কোথাও পার্কিং প্লট করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু নতুন ক্যাম্পাসের দোহাই দিয়ে কোনো কিছুরই সুরহা করছে না প্রশাসন।


পরিবহণ পুল প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বেজমেন্টে পার্কিং না করে বাইরে পার্কিংয়ের বিষয়টা আমিও দেখি। তবে কোনো আপত্তি আসেনি। বেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ যথাযথভাবে রাখেনি। পানি জমে থাকে, অন্ধকারাচ্ছন্ন। তাই কেউ গাড়ি রাখতে চায় না। তবে বেশি শিক্ষক গাড়ি আনে না। ৫-১০টার বেশি আমার মনে হয় না। শিক্ষার্থীদের বসার জায়গাগুলো যেন দখল হয়ে না থাকে আমি সচেষ্ট থাকবো।


বিবার্তা/আদনান/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com