প্রশাসনিক জটিলতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ল্যাব, প্রাকটিকাল ও মৌখিক পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার সময় পার হলেও রেজিস্টার অফিস থেকে টাকা দিতে বিলম্ব করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীরা যে টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকে জমা দেয়, আগে সরাসরি বিভাগে দেয়া হলেও বর্তমানে রেজিস্টার অফিস এবং অর্থদপ্তরের মাধ্যমে বন্টন করে দেয়া হয়। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ নিয়ম চালু হয়। কিন্তু অধিকাংশ বিভাগেই পরীক্ষার সময় পার হয়ে গেলেও টাকা পাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ফলে প্রায় সময়ই ল্যাব ও প্রাকটিকাল পরীক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ ও উপাদান কিনতে হচ্ছে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত অর্থে। আবার অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৌখিক পরীক্ষা নিতে আসা শিক্ষকদের সম্মানী দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিভাগগুলো।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন বলেন, বর্তমানে আমরা ভর্তির টাকা থেকে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। গতবারও টাকা পেতে বিলম্ব হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৌখিক পরীক্ষা নিতে আসা শিক্ষকদের যদি যাওয়া-আসার খরচটাও হাতে না দিতে পারি বিষয়টা খুব খারাপ দেখায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মনোবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষক বলেন, টাকা না পেয়ে রেজিস্টার অফিসে ফোন দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন আপনারা আপনাদের মত চালিয়ে নেন। পরে বিভাগীয় প্রধানকে দিয়ে রেজিস্টারকে ফোন দিলে ১ ঘণ্টার মধ্যে টাকা আসবে বললেও পরের দিনও টাকা আসেনি।
রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল কালাম লুৎফর রহমান বলেন, টাকা দেয়ার প্রক্রিয়াটা এত জটিল না করে সরাসরি বিভাগকে দিলেই ভালো হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্টার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়টা অ্যাকাউন্টস দেখে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাকা দিয়ে দেয়া হবে।
বিবার্তা/আদনান/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]