
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত সরকারের আমলে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই ২০১২ থেকে জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সকল প্রকার ক্রয়-বিক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ, বাড়ি-ভাড়া, গাড়ি ব্যবহার, প্রকাশনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রশাসনিক চরম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়টি ১১ সদস্যের সত্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে৷
৩ নভেম্বর, রবিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গঠিত কমিটি ২০১২ জুলাই থেকে ২০২৪ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো প্রকার আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম/দুর্নীতি থাকলে তা চিহ্নিত করবে। প্রশাসনিক, একাডেমিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি/রুলস-রেগুলেশন ও সরকারি বিধিবিধান লঙ্ঘিত হয়ে থাকলে তা নিশ্চিত করবে এই সত্যানুসন্ধান কমিটি।
এই কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ কাজ করবেন।
কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো: লুৎফর রহমান।
এছাড়া এই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: নুরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম, প্রফেসর ড. মো: কামরুল হাসান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, সৈয়দ আবদাল আহমদ, সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব, প্রফেসর ড. মো: সাব্বির মোস্তফা খান, পানি সম্পদ বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, জনাব কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড. মো: আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা, সহযোগী অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]