ডুয়েটে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৯
ডুয়েটে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিভিন্ন কর্মসূচি ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে।


১৭ এপ্রিল, বুধবার দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত হয়। অবিস্মরণীয় এই ১০ এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের আরেকটি চির ভাস্বর, চির অম্লান ঘটনা ঘটে ১৭ এপ্রিল। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। গৌরবোজ্জ্বল ও চির স্মরণীয় এ দিনটি ইতিহাসের পাতায় ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ হিসেবে পরিচিত।


তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার এদিন শপথ গ্রহণ করে বিশ্বের বুকে এক অবিস্মরণীয় নজির স্থাপন করেছিল। সেসময় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা জাতির পিতার আদর্শ ও নির্দেশনা সুচারুভাবে পালন করার ফলে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিকভাবে সরকার গঠিত হয়েছিল। জাতির পিতার নির্দেশনায় জাতীয় ৪ নেতার যোগ্যতম নেতৃত্বে স্বল্প সময়ে দেশ স্বাধীন হয়। দেশের জন্য এসব ত্যাগ ও অবদানের কথা আমাদের সকলের জানা দরকার। জাতি গঠনে দেশপ্রেম ও ঐক্য গড়ে তোলার জন্য আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহযোগীদের আদর্শ ও জীবন সংগ্রাম তুলে ধরতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে আরো জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।


এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনে দীক্ষিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁদের পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাসহ জাতীয় ৪ নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।


আলোচনা অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সকলকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য’ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, দুপুরে বাদ যোহর জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং বিকেলে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার গঠন-এর উপর চিত্র প্রদর্শনী।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com