‘শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ পদবি চায়, তারা চেয়ারে বসতে চায়, তারা গবেষণা চায় না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী।
১৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এক মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সম্প্রতি যা দেখছি সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় বা রাষ্ট্রের বিষয়ে কিছু নয়, তারা (শিক্ষক সমিতি) ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ব্যস্ত আছেন। দেশে যে নৈরাজ্য চলছে আপনারা তার প্রতিবাদ করুন, জনগণকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়ে যে এত অভিযোগ তা আইন এবং নিয়ম মেনে নিয়োগ হচ্ছে।
আলাওল হলের প্রভোস্ট ও আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির যদি কোন কর্মসূচি থাকে তাহলে তারা প্রশাসন বরাবর উত্থাপন করবেন। শিক্ষক সমিতি যে ২৮ দফা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেটি সাধারণ সভার কোনো শিক্ষকের অনুমতি নেননি। তারা কোনো কর্মসূচির ঘোষণা আমাদের অবহিত করেননি। তারা যা করছে একচেটিয়াভাবে করছে। তারা নিজেদের মতো করে সব করছেন। শিক্ষক সমিতিতে সাধারণ সম্পাদক সব নিজের মতো করছেন। সভাপতিকে বক্তব্য দিতে দেয় না। আমরা সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের স্বার্থে কাজ করতে চেয়েছি। তারা বারংবার প্রশাসনের কাজকে বিভিন্নভাবে সমালোচনা করছেন।
আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মঈন উদ্দিন বলেন, যারা আইনের কথা বলেন তারা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে থাকেন। আইনের শানের কথা যদি তারা বলেন এটা হাস্যকর। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে কে উপাচার্য হবেন সেখানে কি ফায়দা নেয়া যায় সেটা নিয়ে তারা ব্যস্ত আছেন। যদি আপনাদের কথা থাকে সামনাসামনি আসেন তথ্য প্রমাণ রাখেন দেখি কে সঠিক।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
বিবার্তা/মহসিন/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]