‌‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ই-কনটেন্টের অ্যাকসেস পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা’
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৫
‌‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ই-কনটেন্টের অ্যাকসেস পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাদে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও ই-কনটেন্টের অ্যাকসেস পাচ্ছে। অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সমতা নিশ্চিত হয়েছে। উন্নত দেশেও যেমন সহজেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সকল তথ্য হাতের মুঠোয় পাওয়া যায়। তেমনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন শিক্ষার্থী একই তথ্য সহজেই পেতে পারে।’


বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডক্টর মালেকা কলেজে ‘নবীনবরণ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০২৩’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।


দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ বেয়ে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে। সমতার পৃথিবী এবং সমতার বাংলাদেশ আমরা এখনো গড়তে পারিনি। তবে পৃথিবীর উন্নত দেশের নাগরিক যেমন তথ্য সুবিধা পায়। তেমনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের শিক্ষার্থীরাও অবাধ তথ্য প্রবাহে সমান সুযোগ পাচ্ছেন। এর পেছনে রয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা। এটি সমতার বাংলাদেশ তৈরির একটি বড় পদক্ষেপ।’


উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘যে ডিসেম্বরের গৌরব আমরা করি; সেদিন আমাদের গেরিলা যোদ্ধাদের সামনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। বীর বাঙালি বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে জাতির পিতার নেতৃত্বে। আমরা একটি আদর্শনিষ্ঠ মানবিক বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম বলেই এই বিপ্লব। এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি একটি অসাধারণ সাফল্য। মাত্র ৯ মাসে নিরস্ত্র বাঙালি নিজেদের প্রস্তুত করে গেরিলা যোদ্ধা হয়ে সেই সময়ের পরাশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রিয় দেশকে ভালোবেসে স্বাধীন করেছেন। আমাদের সাফল্য শুধুমাত্র কোনো স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি নয়। সেটির পরপরই আমাদের প্রস্তুতি ছিল সর্বাত্মক। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর সেরা সংবিধান প্রণয়ন হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের একটি আকাক্সক্ষা ছিল গণতান্ত্রিক সমাজ গড়া। কী চেয়েছিলাম আমরা? আমরা চেয়েছিলাম অধিকারহারা মানুষকে মূল ধারায় নিয়ে আসতে, শোষণ বঞ্চনার নিগঢ় থেকে বের করে নিয়ে আসতে। এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রাণশক্তি। সেই প্রাণশক্তির সঙ্গে পুঁজির সমাজ যায় না বলেই আমরা রক্ত দিয়ে লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছি।’


নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘যে শিক্ষার্থী আজ এখানে ভর্তি হয়েছ- তোমার প্রতিযোগিতা হবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তরুণের সঙ্গে। একারণেই তো আমরা বলছি বিশ্বগ্রাম। পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিতে হলে বিশ্বজনীন করে তোমাকে তৈরি করতে হবে। একটি নতুন বিশ্বের মানুষ আমরা। সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হলে নিজেকে যোগ্য করার কোনো বিকল্প পথ নেই। ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার কারণে তোমার হাতে যে মোবাইলটি এসেছে সেটি যেন শুধু সেলফি বা ছবি তোলার জন্য না হয়। এটি যেন তোমার পড়াশোনা এবং নিজেকে বিশ্বনাগরিক হিসেবে তৈরির প্রধান হাতিয়ার হয়। এটি যেন হয় ই-কনটেন্ট খোঁজার অন্যতম অনুষঙ্গ। তুমি ইউটিউবে গান শুনবে। বন্ধু খুঁজবে। তাতে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু নিয়মিত অধ্যয়ন করবে। এটি তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এটিকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই তুমি হবে সফল মানুষ।’


অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান কলেজের কৃতী শিক্ষার্থী এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। ডক্টর মালিকা কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন মিঞা। এছাড়া অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, নবাগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা / রাসেল/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com