ঢাবিতে শিক্ষার্থী হেনস্তার অভিযোগ
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:০৫
ঢাবিতে শিক্ষার্থী হেনস্তার অভিযোগ
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নুঝাত মেহজাবিন কর্তৃক ছেলে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও বুলিং এবং শিক্ষার্থী উপদেষ্টা কর্তৃক স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতমূলক আচরণের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভাগের এক দল শিক্ষার্থী।


১৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ ডিপার্টমেন্টের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে কয়েকটি ক্লাসরুমকে তালা বদ্ধ করেন।


গত কয়েকদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নুঝাত মেহজাবিন, ছেলে শিক্ষার্থীদের বুলিং ও হেনস্তা করছিলেন ‘সেক্সুয়াল হ্যারেজার, রেপিস্ট’ বলে। বিভাগের বাকি শিক্ষার্থীরা চেয়্যারমান বরাবর ৪৮ ঘন্টার মাঝে এর বিচার চেয়ে অভিযোগ জমা দেন। কিন্তু বিচার পাওয়ার বদলে অভিযোগ করার পরেদিন চতুর্থ বর্ষের ইমরান হোসাইন (২০১৯-২০) নামের এক শিক্ষার্থীকে বুলিংকারী একদল শিক্ষার্থী হুমকি দিতে থাকে এবং ক্লাসরুমে শিক্ষক অদিতি সাবুরের সামনেই সেক্সুয়াল হ্যারেজার বলে চিৎকার করেন। যা সেই শিক্ষক নিবৃত্ত না করে প্রশ্রয় দেন বলে অভিযোগ জানান অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা।


তারা আরো অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী উপদেষ্টা সৃজন সাম্য অমিয় কর্তৃক স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতমূলক আচরণ বিভাগের ছেলেদের জন্য শিক্ষার পরিবেশ হুমকিজনক করে তুলছে। তিনি ক্লাস গ্রহণে অনিয়মিত, শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে উদাসীন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।


অবস্থান গ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৮-১৯ সেশনের শফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অনাচার হয়ে আসছে। শিক্ষকদের জানালেও মেলেনি কোন সমাধান। উল্টো শিক্ষার্থী উপদেষ্টা থেকে মিলেছে মিথ্যা হুমকি। উপস্থিত একাধিক শিক্ষার্থী তাতে সম্মতি প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে উইমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. উম্মে বুশরা ফাতেহা সুলতানা জানান, তার হাতে একটি নির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে যে শিক্ষার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি মেয়ের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তারা সাথে সাথে জরুরী সভা ডাকে এবং সেই মেয়ের সাথে কথা বলে।


তিনি আরো বলেন, একই সময়ে সে আরেকটা গ্রুপে বার্তা দিচ্ছিল। ভুলে মেসেজটা এখানে লিখেছে। এর জন্য নুঝাত গ্রুপে ক্ষমাও চেয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে বলে অবস্থানকরী শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।


সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল রহমানও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।


উল্লেখ্য, অভিযুক্ত নুঝাত মেহজাবিন, উমাইমা চৌধুরী, মাঈশা সৈয়দা, মাইমুনা রহমান এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তারা সবাই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।


বিবার্তা/ছাব্বির/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com