নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৬:২২
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজস (বিএমএস) বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রেখে ইতিহাস অথবা রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিগ্রিতে পরিবর্তনের দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেছে বিএমএস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত ৫৭দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ওই বিভাগের কার্যক্রম।


১৬ জুলাই, রবিবার বেলা ১১টায় বিভাগটির শিক্ষার্থীর প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেয়। ওই স্থানে তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।


মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের গেইটে তালা দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে বৈঠক করার আশ্বাস ও পরে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দলের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী সহ কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। বৈঠক পরবর্তী শিক্ষার্থীরা আজকের মতো তাদের আন্দোলন তুলে নেন।


আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন সাব্বির বলেন, আমরা গত দুই মাস ধরে আন্দোলন করছি। আমাদের বিভাগের স্নাতক সম্পন্ন করা দুটি ব্যাচ চাকরিতে আবেদন করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সাবজেক্ট সম্পর্কিত আমাদের কোনো চাকরি নেই। আমাদের দাবি বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডিগ্রি পরিবর্তন চাচ্ছি। আমাদের বিষয়টি নিয়ে পূর্বে প্রশাসনের পাঠানো চিঠি আমরা সন্তোষজনক মনে করি না। আমরা প্রশাসনকে বলেছি নতুন করে আমাদের দাবি অনুযায়ী চিঠি পাঠাতে।


বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দিব্যদ্যুতি সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে গত ৫৭দিন ধরে বিএমএস বিভাগের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, তবে আমাদের অফিস কার্যক্রম চালু রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত কমিটির একটি সুপারিশ ও আমাদের বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে একটি সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু কোন কারণে আমাদের সুপারিশগুলো ইউজিসিতে না পাঠিয়ে ভিন্ন একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো হয়, যা শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে আন্দোলনে নামে। তবে শিক্ষার্থীরা যেভাবে চাচ্ছেন সেভাবেই ইউজিসিতে চিঠি পাঠানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি।


শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকী বলেন, আমরা পূর্বে ইউজিসিতে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা সেই চিঠি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের চাওয়া অনুযায়ী চিঠিটি পুনরায় সংশোধন করে নতুন একটি চিঠি ইউজিসিতে পাঠাবো। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।


বিবার্তা/সবুজ/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com